ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজিস Digital Marketing Strategies

ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজিস Digital Marketing Strategies

স্ট্রাকচারালি বিজনেস প্লানের জন্য ৫টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়: যেমন-

১. আমি কি বিক্রি করবাে?

২. কে এই পণ্যটি কিনবে ?

৩. সে কেন কিনবে?

৪. সে আবার কেন আমার প্রােডাক্টটি কিনবে?

৫. সে কেন আমার প্রােডাক্ট বা সার্ভিসকে রেফার করবে?

ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজিস Digital Marketing Strategies

আমাদের লক্ষ্য থাকবে কাস্টমারকে দিয়ে অন্য জনকে রেফার করানাে। এটা না হলে আমাদের কোম্পানি গ্রো করবে না। কারণ সারা জীবন আমরা ডলার দিয়ে প্রােমােশন চালিয়ে যেতে পারবাে না।

এখন আমরা এই পাঁচটি প্রশ্নের গভীরে প্রবেশ করবাে। এই পাঁচটি প্রশ্ন কোন থিওরি নয়। এটি আমার গবেষণার ফল এবং একে আমি পেন্টা কিউ নাম দিয়েছি।

চলুন ধাপে ধাপে বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করি।

১. আমি কি বিক্রি করবাে

এটির আওতায় আরাে ৫টি প্রশ্ন আছে। যেমন:

A) USP = Unique Selling Price

B) Unique Differentiation Point

C) Revenue Maximization

D) Cost Maximization

E) Zero Competition

A) USP = Unique Selling Price ব্যবসায়ী হিসেবে আমাদের লক্ষ্য থাকে কোন প্রােডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করা। ধরলাম আমরা ওয়ালটন টিভি বিক্রি করবাে। তাহলে এই টিভির একটা ইউনিক সেলিং প্রাইস খুঁজে বের করতে হবে। কোন কারণে আমার এই টিভিটি মানুষ কেনার জন্য লাইন ধরে দাড়িয়ে থাকবে। এক্ষেত্রে, ওয়ালটনের ইউএসপি হলাে, “দেশি পণ্য”।

দেশি পণ্য হলাে এর কোর ইউএসপি যার কারণ এটি মানুষে গ্রহণ করাতে পেরেছে। কিন্তু যদি বলি দামে সস্তা তাহলে সেটি আবার হয়ে যাবে এর ভ্যালু। ওয়ারেন্টি দেয়া হয়, এটা হলাে এর আফটার সেলস সার্ভিস। কিন্তু মূল ইউএসপি হলাে দেশি পণ্য।

B) UDP = Unique Differentiation Point এটি হলাে আপনার প্রােডাক্টের মধ্যে এমন কি আছে যা অন্য কোন। প্রােডাক্টে নেই। অর্থাৎ এই বৈশিষ্ট সবার থেকে আপনার পণ্যকে ডিফরেন্ট করে দেবে। সবাই এক দিকে আর আপনার পণ্য থাকবে আরেক দিকে। যেমন- সনি ব্রাভিয়ার ডিফরেন্টসিয়েশন পয়েন্ট হলাে তারা প্রথম টিভিতে ইউ শেপ নিয়ে এসেছে। এর ফলে সনি ব্রাভিয়া এক দিকে আর বাজারের অন্য সকল টিভি আরেক দিকে, এই ইউনিক বৈশিষ্টের দিক থেকে।

এক্ষেত্রে যে ব্যক্তি সনি ব্রাভিয়া কিনতে গেছে সে শুধু সনি ব্রাভিয়াই কিনতে গেছে। এবং সে সনি ব্রাভিয়া কিনেই বাসায় ঢুকেছে। সে কিন্তু ওয়ালটন কিনে বাসায় যায় নি। অথচ ওয়ালটন থেকে সনি ব্রাভিয়ার দাম অনেক গুণ বেশি। অর্থাৎ সনি ব্রাভিয়া অনেক গবেষণা করে এই ইউনিক ডিফরেন্টসিয়েশন পয়েন্ট তৈরি করেছে।

C) Revenue Maximization এর পর আপনি সার্ভিসটি বিক্রি করবেন। কিন্তু কোন পদ্ধতিতে বিক্রি করলে আপনি সবচেয়ে বেশি রেভিনিউ বা প্রফিট বের করে আনতে পারবেন।

একে আমরা একটি গল্পের মাধ্যমে বােঝাতে পারি। যেমন- এক গঞ্জে পাশাপাশি দুইটি দোকান ছিল। সেখানে এক দোকানের মালিক চিনি মিল রেটে বিক্রি করতা। পাশের দোকানদার সাধারণ লাভ রেখেই চিনি বিক্রি করতাে। যিনি মিল রেটে বিক্রি করতাে তার আনতে খরচ হয়েছে, প্যাকিং খরচ হয়েছে, দোকান ভাড়ায় হয়েছে, ইত্যাদি। এই ঘটনায় বাজারের সব দোকানদার বলাবলি করতে শুরু করলাে যে, সে একজন বেহিসেবি লােক। কারণ কেউ লসে পণ্য বিক্রি করতে চায় না।

কিন্তু মিল রেটে চিনি বিক্রেতার ক্যালকুলেশন অন্য জায়গায়। তিনি যখন ক্রেতাদের কাছে মিল রেটে চিনি বিক্রি করতাে তখন সেই ক্রেতারা অন্যান্য পণ্য সামগ্রীও তার কাছ থেকে ক্রয় করতাে। দুই মাস পর দেখা গেল এই দোকানীর লাভ বাড়ছে এবং দোকানের পরিধিও বাড়েছে। তখন অন্যান্য দোকানদাররা তাকে এর গােপন সূত্র বলার জন্য চেপে ধরলাে।

অনেক জোরাজুরি করার পর সে বললাে, আমি চিনি থেকে লাভ করি না। আমি বস্তা বিক্রি করে লাভ করি এবং তারা যে অন্যান্য পণ্য ক্রয় করে সেখান থেকেও লাভ করি। সে চিনিতে লাভ করতাে, অন্যান্য পণ্যে সীমিত লাভ করতাে। ফলে তার বিক্রির পরিমাণ বহুগুণ বেড়ে গিয়েছিল। এছাড়া চিনির মিল থেকে যেহেতু অনেক চিনি কিনতাে তাই মিল থেকেও তাকে একটি কমিশন দিতাে।

এক্ষেত্রে আপনার হিসাব কেমন? আপনি চিনি বিক্রি করবেন নাকি বস্তা বিক্রি করবেন? অর্থাৎ কোন লেভেলে আপনার পণ্য বা সেবাকে সাজালে অপটিমাম লেভেলে আপনার প্রফিট ম্যাক্সিমাইজেশন হবে।

D) Cost Maximization আপনার প্রােডাক্ট বা সার্ভিসকে যদি বাজারে ছাড়তে হয় তাহলে কোন কোন জায়গায় কস্ট মিনিমাইজ করবেন। মার্কেটিংয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হলাে, যে কিনে জিততে পারে না, সে বিক্রি করেও জিততে পারে না। বিক্রির সময়তাে আপনি কম্পিটিশনে আছেন। কিন্তু তৈরির সময় বা কেনার সময় যতাে কোয়ালিটি ঠিক রেখে সার্ভিস প্রদান করতে পারবেন ততাে দিন শেষে প্রফিট করতে পারবেন।

E) Zero Competition মার্কেটার হিসাবে আমি কম্পিটিশন পছন্দ করি না। এবং আমার যাদের ক্লায়েন্ট আছে তাদেরও বলি কম্পিটিশন করে কোন লাভ নেই।

> এক রসিক ব্যক্তি বলেছিল, কেবল মাত্র বােকারাই ফাঁকা মাঠে গােল দেয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এক মার্কেটার বলেছিল, একমাত্র অসম্ভব। পরিমাণ বুদ্ধিসম্পন্ন ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমান ব্যক্তিরাই ফাঁকা মাঠে গােল দেয়। যেমন এখন অনেকে বাজারে থ্রি পিছ বিক্রি করছে, আর সবাই এই সারিতেই হাটছে অর্থাৎ তারাও থ্রি-পিছ বিক্রি করে লাভ করতে চাইছে। কিন্তু আপনি যদি আন্ডার গার্মেন্টস বিক্রি করতে পারেন তাহলে প্রতি দিন কয়েক লক্ষ্য টাকার আন্ডার গার্মেন্টস বিক্রি করতে পারবেন। অনলাইনে আন্ডার গার্মেন্টেসের কি অসম্ভব পরিমাণ চাহিদা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। কিন্তু ফিট করানােটা ডিফিকাল্ট। নানা সাইজের আন্ডার গার্মেন্টস রাখতে হবে। আবার মহিলাদের জন্য একজন মহিলা কর্মীও রাখতে হবে। এটা আনট্যাপ মার্কেট কিন্তু কিছু ব্যারিয়ার তাে আছে।

মজার বিষয় হলাে আমাদের দেশে ই-কমার্স হলাে গ্লোয়িং মার্কেট। এখানে যে জায়গায় হাত দিবেন সেখানেই আনট্যাপ মার্কেট। তবে এটা যেন এমন হয়, একজন মধু বেচে ভাল করেছে তাই সবাইকে মধু বিক্রি করতে হবে। আপনার লক্ষ্য থাকতে হবে, আপনার কম্পিটিশন জিরাে করা।

এজন্য দরকার ফাঁকা মাঠ খুঁজে বের করা। নইলে এমন কাজ করতে হবে যেন মাঠ ফাঁকা হয়ে যায়। এছাড়া আমরা খেলার মাঠের উদাহরণ দিতে পারি। মাঠে সবাই কিন্তু সারা মাঠ জুড়ে খেলে না। জটলা করে খেলে। এই দিকে দৃষ্টি দিলে বুঝবেন মাঠের অনেক অংশই ফাঁকা। আপনার দায়িত্ব হলাে সেই ফাঁকা অংশ খুঁজে বের করা।

মাঠের কোথায় ডেনসিটি কম? কেন কম? আন্ডার গার্মন্টস নিয়ে মানুষ ব্যবসা করছে না? কেন করছে না? সমস্যা কোন জায়গায়? যারা কিনতে চায় তাদের চাহিদা কি? আপনি যখন এই বিষয়গুলাে ধরে ধরে লেখা শুরু করবেন তখন দেখবেন একটি পথ আপনি ঠিকই পেয়ে গেছেন। আপনার জন্য মাঠের অনেক অংশ এখনাে ফাঁকা পড়ে আছে।

২. কে এই পণ্যটি কিনবে ?
আমি কি সবার জন্য প্রােডাক্ট বানাবাে/সবার জন্য প্রােডাক্ট সেল করবাে? এটা একটা মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন। অবশ্যই না!

আসুন বিষয়টি ডেমােগ্রাফিক ইনফরমেশনের সাহায্যে মিলিয়ে নেই।
যেমন-টেলিকম সেক্টর। বাংলাদেশে ম্যাস লেভেলে মার্কেটিং করে টেলিকম সেক্টর, যেমন- রবি, জিপি, বাংলালিঙ্ক, এয়ারটেল। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মার্কেটিং বাজেট হলাে জিপি এর। জিপি ছাড়াও অন্যান্য যে টেলিকম কোম্পানি আছে তাদের বিশাল মার্কেটিং বাজেট থাকা সত্ত্বেও তারা সিম বিক্রি ও অন্যান্য সার্ভিস প্রদানে সকলের জন্য মার্কেটিং করে না। অর্থাৎ দেশের ২০ কোটি মানুষকে ফোকাস করে না।

একটু খেয়াল করলে দেখবেন জিপির অ্যাড গুলাে একটু হাই থটের। জিপির অ্যাপােচ হলাে, আমি একটু কর্পোরেট। যে কোন ব্যাবসায়ী বা কোর্পোরেট পার্সন প্রতাশা করে একটা জিপি নম্বর ব্যবহার করতে।

জিপি তার টার্গেটেড এইজ গ্রুপ নির্ধারণ করেছে একটু বয়স্ক শ্রেণী অর্থাৎ ইয়াংদের চেয়ে একটু উপরের বয়স্ক ব্যক্তিদের। যারা এই ধারণা গড়ে তুলেছে যে যারা কর্পোরেট, একটু পশ পিপল, তারা জিপি নম্বর ব্যবহার করবে। জিপির দীর্ঘ দিনের কমিউনিকেশন দিয়ে এই জায়গাটি ধরে ধরে স্টাব্লিশ করেছে।

বাংলালিংক আবার মফস্বলকে টার্গেট করেছে। অর্থাৎ টেলিকমিউনিকেশনে বড় বড় কোম্পানিগুলাে এত বড় বাজেট নিয়েও ২০ কোটি মানুষকে টার্গেট করে না। আর আমরা ৫ ডলারের অ্যাড দিতে গিয়ে সারা বাংলাদেশ টার্গেট করি। ১৮-৬৫+ সারা বাংলাদেশ।

তাহলে, আমার প্রােডাক্টটি কাদের কাছে বিক্রি করবাে? এটা দুই ভাবে হতে পারে। আপনি নির্ধারণ করতে পারেন অথবা যারা নির্দিষ্ট পণ্য কেনে শুধু তাদের জন্য বিক্রি করতে পারেন। যেমন- আপনি বলতে পারেন, আপনি আই ফোন বিক্রি করবেন। এটা নির্ধারণ করার সাথে সাথে একটা টার্গেট কাস্টমার অ্যালাইন হয়ে গেল। আবার যারা অডি গাড়ি চালায় তারা হলাে রিচ জলি পিপল। মার্সিডিজ হলাে ধনী মানুষ কিন্তু একটু অফিশিয়াল ভাবসাব থাকবে। অর্থাৎ ব্র্যান্ড পার্সোনালিটি ঠিক করে দেয়।

আপনি প্রােডাক্ট বিক্রি করতে চাইলে শুধু নির্দিষ্ট শ্রেণীর মানুষের জন্য। কমিউনিকেশন হতে হবে।

বিক্রির কাজগুলাে করতে গেলে আরাে কিছু ইনফরমেশন আমাদের প্রয়ােজন হবে। যেমন- তার বয়স কত? তিনি কোথায় থাকেন? তিনি পুরুষ না মহিলা?

এগুলাে কেন গুরুত্বপূর্ণ? কারণ পুরুষদের বেলা যে টোনে কথা বললে তাদের আকৃষ্ট করতে পারবেন, সেখানে একজন মহিলাকে সেই টোনে কথা বললে আকৃষ্ট করা সম্ভব হবে না।

একজন মেয়েকে যদি বলা হয় আপনার চেহারায় দাগ পড়ে যাচ্ছে, তাহলে সেই মেয়ে আয়নায় দশ বার মুখ দেখবে। তার রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাবে। কিন্তু একই কথা একটি ছেলেক বললে হয়তাে তার মধ্যে কোন ফিলিংসই হবে না। এজন্য ছেলেদের জন্য যে কমিউনিকেশন মেয়েদের জন্য সেই কমিউনিকেশন করলে হবে না।

এছাড়া আপনি কি কখনাে দেখেছেন ঢাকায় যে কর্পোরেট অফিসে জব করে সে কি কখনাে কটকটা কমলা কালারের প্যান্ট পরে ঘুরে বেড়াতে? পাবেন না। কিন্তু দেশের অনেক জায়গা আছে যেখানকার মানুষ কটকটা কালারের প্যান্ট-শার্ট পরতে খুবই পছন্দ করে। তাই লােকেশন অনুসারে সাইক্লোজি অনেক চেঞ্জ হয়ে যায়। লােকেশন অনুসারে জিন কোডে যে স্মৃতি সেটি মানুষকে নির্দিষ্ট আচারন করতে বা পােশাক পরতে সাহায্য করে থাকে। তাই লােকেশন অনুসারে মানুষের ম্যানার জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এক অঞ্চলের গালি অন্য অঞ্চলের বুলি।

এছাড়া কমিউনিকেশনের জন্য আরাে যে বিষয়গুলাে চলে আসে সেগুলাে হলাে এডুকেশন, লেভেল অব ইনকাম, অকুপেশন, ম্যারিটাল স্টাটাস, রিলিজন, ফ্যামিলি সাইজ ইত্যাদি। কোন কোন ক্ষেত্রে সার্ভে করার প্রয়ােজন পড়ে অ্যাড করার জন্য। কোন কোন ক্ষেত্রে নিজের নেমে যেতে হয় নির্দিষ্ট মানুষদের আচারণ বুঝতে । এই তথ্যগুলাে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আপনি যদি ফেসবুক মার্কেটিং করতে চান তাহলে তাে আরাে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

এর পর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলাে বিহ্যাবিয়ারঃ
এই ক্ষেত্রে চলে আসে তার ডিজিটাল অ্যাকটিভিটি কি? সে কোন ধরনের ফোন ইউজ করে? সে কোন কোন ডিভাইস ইউজ করে? এই ডেটা গুলাে প্রয়ােজন?

এছাড়া তার পারচেজ বিহ্যাবিয়ার কি? সি কি আর্লি অ্যাডাপটার? অনেকে আছে আর্লি অ্যাডাপটাল। নতুন একটা গ্যাজেট আসলে তাকে কিনতেই হবে। কেনার পর বাকিটা চিন্তা করে। অনেকে আছে নতুন একটা কিনলেও পুরাতনটার মায়া ছাড়তে পারে না। তাহলে এই দুই ধরনের ব্যক্তির পারচেস বিহ্যাবিয়ার কি এক রকম?

একটি বিষয় আমাদের সব সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাদের টার্গেট করে আমি কমিউনিকেশন করবাে শুধু তারাই আমার প্রােডাক্টে আকৃষ্ট হবে। কিন্তু আগে আইডেনটিফাই করতে হবে আমি কি শিক্ষিত মানুষের জন্য কমিউনিকেশন ম্যাটেরিয়াল তৈরি করবাে, নাকি অশিক্ষিত মানুষের জন্য করবাে। অর্থাৎ কোন নির্দিষ্ট জনগােষ্ঠীর সাথে কমিউনিকেট করতে গেলে তাদের ভাষাই আমাদের কমিউনিকেট করতে হবে। আপনি যদি সবার জন্য কমিউনিকেশন ম্যাটেরিয়াল তৈরি করতে চান তাহলে সেটা করাের জন্যই হবে না। অর্থাৎ কেউই সেটা পছন্দ করবে না।

এর পর বিবেচনায় চলে আসে কালচারাল অ্যাফিনিটির বিষয়টি। অর্থাৎ আপনি কোন গােত্রের? এছাড়া এর সঙ্গে চলে আসবে আপনার পলিটিক্যাল কোন ওরিয়েনটেশন আছে কিনা? আপনার কোন ব্র্যান্ড ওরিয়েনটেশন আছে কিনা? তাহলে কে এই পণ্যটি কিনবে বিষয়টিকে যদি সামারাইজ করে যে বিষয়গুলাে আমাদের সামনে চলে আসে সেগুলাে হলাে-

> ডেমগ্রাফিক ইনফরমেশন

- বয়স

- জেন্ডার।

- লােকেশন

- ইডুকেশন

- লেভেল অব ইনকাম

- অকুপেশন

- ম্যারিটাল স্টাটাস

- রিলিজন

- ফ্যামিলি সাইজ

> আরাে চলে আসে বিহ্যাবিয়ার

- ডিজিটাল অ্যাকটিভিটি

- পারচেস বিহ্যাবিয়ার

- কনজিউমার ক্লাসিফিকেশন

- কালচারাল অ্যাফিনিটি

- পলিটিক্যাল অ্যাফিনিটি

- ব্র্যান্ড ওরিয়েন্টেশন

এতক্ষণ আমরা আলােচনা করলাম কে আমার পণ্য কিনবে? এখন আমরা দেখবাে কেন লােকজন আমাদের প্রােডাক্ট কিনবে?

৩. সে কেন কিনবে?
অনেক সময় আমরা দেখি অর্ডার করতে গেলে ১০০ টাকা আগে বিকাশ করুন। এমন লেখা ফেসবুকের অনেক পেইজে দেখি। একটু ঘাটলে দেখা যায় এগুলাে হলাে ফেক প্রােডাক্ট। একটু ভাল ছবি দিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে পেইজে শুধু মানুষকে প্রত্যারিত করে অর্থ উপার্যনের জন্য। মানুষের কি দায় ঠেকেছে যে তার কাছে গিয়ে অর্ডার করতে হবে? বাজারেতাে আরাে অনেক মানুষ আছে একই জিনিস বিক্রি করছে?

আপনি কেন আমার পেইজ থেকে প্রােডাক্ট কিনবেন সেটি বুঝিয়ে বলা হলাে আমার দায়িত্ব। আমি যদি আমাকে বিক্রি করতে না পারি, আমার প্রােডাক্টকে বিক্রি করতে না পারি তাহরে আমি কেমন বিজনেস ম্যান।

এই কাজটি করতে গেলে তিন ধরনের ভ্যালু অ্যাড করতে হয়। এগুলাে হলাে-

ক). কোর ভ্যালু।

খ). অ্যাডেড ভ্যালু

গ). ইমপােজড ভ্যালু

ক). কোর ভ্যালু: যেমন একটি টিভির সাথে ইন্টারনেট দেখা যায়, ল্যাপটপের সাথে কানেন্ট করে প্রােজেক্টরে দেখা যায়, এমন যতাে ফিচার টিভিটির সাতে আছে সেগুলাে হলাে এর কোর ভ্যালু।

খ). অ্যাডেড ভ্যালু: যেমন ওয়াল্টন হলাে দেশি পণ্য। এটি হলাে অ্যাডেড ভ্যালু। একটি নতুন ভ্যাল অ্যাড করে আমরা ভােক্তার মধ্যে চাহিদা তৈরি করি।

গ). ইমপােজড ভ্যালু: এটি হলাে মার্কেটারদের পাওয়ার প্লের জায়গা। যেমন হরলিকসে বলা হচ্ছে, এটি খেলে আপনার বাচ্চা হবে টলার, শার্পার, স্ট্রংগার। কখনাে কি মনে হয়েছে, কেন বলছে এমনটি। টল বা টলেস্টও তাে বলতে পারতাে। কিন্তু টলার বলছে কেন? হরলিসক হলাে মায়েদের সাইক্লোজি টার্গেট করে বানানাে। কারণ হরলিকস কিনতে বলে মায়েরা। আর মায়ের মধ্যে একটি প্রবণতা কাজ করে পাশের বাড়ির ভাবির বাচ্চার চেয়ে তার বাচ্চা যেন দেখতে ভাল হয়, স্বাস্থ্য এবং বুদ্ধিবৃত্তিক দিক থেকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকবে। এই বিষয়টি মার্কেটাররা ধরতে পেরেছে। তাই হরলিকসে টলার, শার্পার, স্ট্রংগার ইমপােজড ভ্যালু এতাে কার্যকরভাবে যােগ করতে পেরেছে। কারণ টলেস্ট বললে এটা কেউ বিশ্বাস করবে না। তারা মানুষের কোর সাইক্লোজিকে হিট করেছে।

আপনি যদি বিজনেসে ইমপােজড ভ্যালু সঠিক ভাবে যােগ করতে পারেন এবং মানুষ সেটি গ্রহণ করলে আপনার বিজনেস অপ্রতিরােধ্য গতিতে এগিয়ে যাবে।

মানুষ আমাদের পণ্য কিনবে এই তিন প্রকার কোর ভ্যালু উপর ভিত্তি করে। কিন্তু এই কোর ভ্যালুকে নির্ধারণ করাতে হবে ফেয়ার এন্ড গ্রিডের উপর ভিত্তি করে। অর্থাৎ ভােক্তাকে ভয় এবং লােভ দেখাতে হবে।

ভােক্তার মনে এটি ঢুকিয়ে দিতে হবে আমার টিভি না কিনলে তার প্রেসটিজ থাকবে না, এই ভয়টি। আর কত ফিচার আছে, কত সুবিধা পাবে এটি ক্রয় করে এই লােভও দেখাতে হবে। যাতে একজন ক্রেতা অন্যকিছু না ভেবে শুধু আপনার পণ্যটি কিনবে। অর্থাৎ ভােক্তার ফেয়ার এন্ড গ্রিড ফ্যাক্টর ধরতে পারলে কোন কোন কোর ভ্যালু প্রােডাক্টে অ্যাড করবাে তার চেক লিস্ট তৈরি করা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে আপনি শর্ট লিস্ট করতে পারবেন। কোন কোন বিষয় তার ফেয়ারকে রিমুভ করবে এবং কোন কোন বিষয়। তার গ্রিডকে অ্যারােজ করবে তার ভিত্তিতে।

ফেয়ার এন্ড গ্রিড বােঝার আরেকটা সহজ পদ্ধতি হলাে পেইন এন্ড গেইন ফমূলা। অর্থাৎ কি কি বিষয়ে পেইন রিমুভ হবে প্রােডাক্ট ব্যবহার করলে এবং কোন কোন বিষয় সে গেইন করবে বা লাভবান হবে এই প্রােডাক্ট থেকে।

পেইন,গেইন, ফেয়ার, গ্রিড এই চার ফ্যাক্টর আপনাকে ঠিক করে দেবে কোন কোন ধরনের ভ্যালু আপনি আপনার প্রােডাক্টে অ্যাড করবেন।

৪. সে আবার কেন আমার প্রােডাক্টটি কিনবে? 
আমার প্রােডাক্ট কেন কিনবে তার জন্য আমরা নানা প্রকার ভ্যালু অ্যাড করছি। এগুলাে সবই এক একটি প্রমিজ। এখানে আমাদের চেক এন্ড ব্যালেন্স করার বিষয় চলে আসে। আমি বলেছি আমার প্রােডাক্টে এই এই ভ্যালু আছে। এখন এই ভ্যালুগুলাে কতটা কাজ করবে সেটি এখন দেখার বিষয়।

আপনার কথা শুনে হয়তাে একজন আপনার টিভি কিনে নিয়ে গেল। এখন যে যে ফিচার বা ভ্যালুর কথা বলেছিলেন সেগুলাে কি আপনার টিভিতে সঠিক ভাবে কাজ করছে কিনা সেটিই মােস্ট ইমপরটেন্ট। এখন আপনার কথা আর কাজে যদি মিল না থাকে তাহলে সেই ব্যক্তি হয়তাে আপনার টিভি আপনাকেই আবার ফিরিয়ে দিবে।

এখানে একজন মার্কেটারকে বুঝতে হয় আমি যে প্রমিজের কথা বলছি সেগুলাে সঠিকভাবে ডেলিভার করতে পারবাে কিনা?

# একই সাথে আমার কাস্টমার সার্ভিস ভােক্তাকে কতটুকু স্যাটিসভাই করতে পারছে সেটিও একই ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

# একই সাথে ভােক্তাকে লয়্যাল কাস্টমারে পরিণত করার জন্য নানা । ধরনের গিফ্ট বা সিজনাল অফার দেওয়ার প্রয়ােজন পড়ে। যেমন- স্বপ্ন বা আগােরা মেম্বারশিপ কার্ড দেয়। সেখানে পারচেজ করলে পয়েন্ট দেয়। এছাড়া এমন পর্যায়ে সার্ভিস দেওয়া যা অন্যের কাছ থেকে না পায়। এতে সেই কাস্টমার অন্য কোথাও গেলে শান্তি পাবে না। ফলে সে আপনার লয়্যাল কাস্টমারে পরিণত হয়ে যায়। আপনার বিজনেস স্ট্রাটেজির মধ্যে লয়্যাল কাস্টামার তৈরি করার প্লান আগে থেকে গুছিয়ে রাখতে হবে। এজন্য কি করবেন এটি শুধুমাত্র আপনিই ভালভাবে বলতে পারেন।

# আরেকটা বড় বিষয় হলাে প্রােডাক্ট ফ্যামিলি/সার্ভিসেস (অ্যাডিশনাল সেল)ঃ
একজন মানুষ ল্যাপটপ বিক্রি করে। ল্যাপটপের দোকানে ল্যাপটপের পাশাপাশি আরাে অনেক জিনিস থাকে। যখন একজন ক্রেতা আসে সে শুধু ল্যাপটপ কিনতে আসে না। সঙ্গে সঙ্গে সে ল্যাপটপের ব্যাগ, গেমসের সিডি ইত্যাদি কিনে থাকে।

আপনার ক্রেতাকে ফোন দিয়ে জানাতে পারেন, স্যার আপনি তাে ল্যাপটপ কিনেছিলেন! আমাদের একটা সুন্দর মাউস এসেছে, আপনি কি এটা নিবেন নাকি? এভাবে তার সাথে ভাল ব্যবহারের মাধ্যমে একের পর এক সেলস করতে পারবেন তার কাছে।

পরবর্তীতে তার কাছে যে বিক্রি করছেন তাতে কাস্টমার অ্যাকিউজিশন। কস্ট খুবই সীমিত। প্রথমবার তাকে পেতে তাে নানা ধরনের অ্যাড দিতে হয়েছিল কিন্তু পরবর্তীতে শুধু সম্পর্কের দ্বারাই আপনি পণ্য বিক্রি করে ফেলতে পেরেছেন।

প্রথম সেলসে সাধারণত লস হয় যদি আপনি কাস্টমার অ্যাকিউজিশন কস্ট, আপনার টাইম, ইফোর্ট ইত্যাদি হিসেব করেন। আপনি যদি একের পর এক সেলস করতে পারেন তাহরে সেকেন্ড সেলস থেকে আপনার লাভ শুরু হবে। আমরা সব সময় নতুন নতুন কাস্টমার খুঁজি। কিন্তু নতুন কাস্টমারের পাশাপাশি পুরাতন কাস্টমারদের কতভাবে সার্ভিস দেওয়া যায় সে কথাটি ভেবে দেখতে চাই না।

# এর পর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলাে পিয়ার সেলসঃ
আপনি শুধু আপনার কাস্টমারের কাছে আপনার পণ্য বিক্রি করবেন না। আপনার কাস্টমাররা অন্যন্য পণ্য যাদের কাছ থেকে কেনে তাদের কাছেও পণ্য বিক্রি করুন। যেমন- হাশপাপি। বাটার দোকানে গিয়ে আমরা এই জুতা অনেকেই কিনে থাকি। কিন্তু এর জন্য বাটার পক্ষ থেকে আমাদের কোন চেষ্টা চালায় না। হাশপাপি বাটার পিয়ার আপ হয়ে এই জুতাগুলাে আপনার কাছে বিক্রি করছে। এখানে থেকে যা সেলস হবে তার একটি অংশ বাটা পাবে।

# আরেকটি বিষয় হলাে পয়েন্ট অব নাে রিটার্ণ (অ্যাডিকটিভ প্রােডাক্ট অর সার্ভিস)ঃ
পয়েন্ট অব নাে রিটার্ণ তৈরি করতে পারলে ধরে নিতে পারবেন আপনার বিজনেস অনেকখানি স্টাবিলিশ হয়ে গেল। যারা আপনার প্রােডাক্ট বা সার্ভিস নিচ্ছে তাদেরকে আপনার প্রােডাক্ট বা সার্ভিসের প্রতি অ্যাডিকটিভ করে দেওয়া।

এর থাম রুলস হলে ৩০% লেস প্রাইসে ৩০% এক্সট্রা সার্ভিস। আরাে থাম রুলস হলাে এই প্রােডাক্ট ভােক্তাকে কতটুকু কমফোর্ট দিচ্ছে। আরএফএল পাইপের একটা ডায়লগ আছে, “কেনেন, লাগান, ভুলে যান”। সার্ভিসের ক্ষেত্রে যদি এই স্টাইল ফলাে করা যায় তাহলে ভােক্তারা অ্যাডিকটিভ হয়ে যায়। যখন সে আপনা সার্ভিস ব্যবহার করবে তখন সে বুঝবে না এর মর্ম। কিন্তু যখন অন্য ব্র্যান্ডে চলে যাবে তখন আপনার পণ্যের মর্ম বুঝবে। তখন সে আবার আপনার কাছে ফিরে আসবে। প্রত্যেক প্রােডাক্টের ক্ষেত্রে এর অ্যাপ্রােচ ভ্যারি করে। যেমন স্টেপসের স্যান্ডেল হলাে খুবই নরম। এই স্যান্ডেল যে একবার পরে তখন অন্য কোন স্যান্ডেল পরে আর সে মজা পায় না। সে তখন আবার স্টেপসে ফেরত আসে। এখন আপনার কাস্টমারকে পয়েন্ট অব নাে রিটার্ণে নিয়ে যাবেন সেটি আপনার ম্যাকানিজম। এটি একদুই দিনের প্লানিংয়ে আসবে না। ধাপে ধাপে নানা অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে এই পর্যায়ে পৌছাতে হয়।

# বাল্ক সেল:
ইনাভাটো নামে একটি সাবস্ক্রিপশন সার্ভিস রয়েছে যেখান নানা ধরনের পিকচার, ভেক্টর ইত্যাদি পাওয়া যায়। এখানে পেইয়িং মুড হলাে ছয় মাসের সাবস্ক্রিপশন করলে ৬ মাস ফ্রি। এক্ষেত্রে একজন বিক্রেতা। দেখছে আপনার কাছে এক বছরের সাবস্ক্রিপশন বিক্রি করা হলাে। আর ক্রেতার দেখছে আমরা ছয় মাসের সাবস্ক্রিপশন ফ্রি পেলাম। এখানে মাসিক পেমেন্টরও ব্যবস্থা রয়েছে। তাই আপনাকে ঠিক করতে হবে কিভাবে আপনি মানুষকে বাল্ক সেলে উদ্বুদ্ধ করবেন।

সুতরাং মানুষ কেন আমার কাছ থেকে বার বার পণ্য কিনবে তার ফ্যাক্টরগুলাে আমরা আলােচনা করেছি। এগুলাে হলাে-

- প্রমিজ (চেক এন্ড ব্যালান্স)

-কাস্টমার সার্ভিস

-লয়্যালটি

-প্রােডাক্ট ফ্যামিলি/সার্ভিসেস (অ্যাডিকশনাল সেল)

-পির সেলস

-পয়েন্ট অব নাে রিটার্ণ (অ্যাডিকটিভ প্রােডাক্ট অর সার্ভিস)

-বাল্ক সেল

৫. সে কেন আমার প্রােডাক্ট বা সার্ভিসকে রেফার করবে?
একজন মার্কেটিং স্ট্রাটেজিস্ট হিসেবে কখনাে কল্পনাও করবেন না আপনার প্রােডাক্ট বা সার্ভিস অন্য জন রেফার করবে। এজন্য আমাদের কনশাস লেভেল রেফারেন্স তৈরি করতে হবে। অর্থাৎ মানুষ যাতে সচেতনভাবে রেফার করে তার জন্য ম্যাকানিজম তৈরি করতে হবে। যেমন পাঠাও এবং উবার যেটি করেছে, রেফারেন্স কোড শেয়ার করলে যে শেয়ার করবে সে একটি রাইড ফ্রি পাবে আর যে কোড পেয়ে রাইড ব্যবহার করবে সেও একবার বিনা পয়সায় রাইড পাবে। এখানে দুই পক্ষেরই লাভ। এই পদ্ধতিতে ব্যবসা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এগুলাে হলাে কনশাস লেভেল রেফার।

আর সাব-কনশাস লেভেল রেফার হলাে আপনি শাওমি ফোন দিয়ে কোন ফটো শুট করলেন। সেখানে লেখা উঠছে শুটেট বাই শাওমি। আপনি যখন সােশ্যাল মিডিয়ায় এগুলাে শেয়ার করছেন তখন শাওমিও সঙ্গে যাচ্ছে। এটাই হলাে সাব-কনশাস লেভেলে রেফার। আই ফোন দিয়ে মেইল পাঠান, লেখা উঠবে সেন্ড ফ্রম আইফোন এক্স। আপনার মেইল যাচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছে আই ফোন। এক্ষেত্রে আমরা জেনে বুঝে আইফোনকে ট্যাগ করছি ।এগুলাে হলাে পার্ট অব গ্রোথ হ্যাকিং।

অর্থাৎ দুই ভাবে অন্য মানুষ আপনার প্রােডাক্ট বা সার্ভিস রেফার করবে।

ক). কনশাস লেভেল রেফার।

খ). সাব-কনশাস লেভেল রেফার

এই যে পয়েন্টগুলাে আজ আলােচনা করা হলাে এগুলাে যদি আপনার বিজনেসে অ্যাপ্লাই করেন তাহলে আপনার বিজনেসের মােড় ঘুরে যাবে।

Post Related Things: Bangla Blog - ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজিস, Digital Marketing Strategies, ডিজিটাল লার্নিং পয়েন্ট, Facebook marketing strategy, Facebook marketing, marketing on Facebook, Facebook marketing 2022, Facebook for business, traffic from Facebook, how to get traffic from Facebook, Facebook marketing tips, why use Facebook, Facebook strategy, how to use Facebook, Facebooktutorial, online job, advertise, brand, sknourhasan best seller,expertva1 top seller, digital learning point, digital marketing, outsourcing, freelancing, Facebook, ডিজিটাল লার্নিং পয়েন্ট, Facebook marketing strategy, Facebook marketing, marketing on Facebook, Facebook marketing 2020, Facebook for business, traffic from Facebook, how to get traffic from Facebook, Facebook marketing tips, why use Facebook, Facebook strategy, how to use Facebook, Facebook tutorial, online job, advertise, brand, sknourhasan best seller, expertva1 top seller, digital learning point, digital marketing, outsourcing, freelancing
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url