ফেসবুক সেলস ফানেল Facebook Sales Funnel
ফেসবুক সেলস ফানেল Facebook Sales Funnel
বর্তমানে ফেসবুকে ২.৯১ অ্যাকটিভ ইউজার রয়েছে যার অর্থ একে যদি একটি দেশ হিসেবে কল্পনা করা হয় তাহলে সেটি হবে বিশ্বের অন্যতম। জনবহুল দেশ। আর বাস্তবতা বলছে সংখ্যা গরিষ্টতার দিক দিয়ে ফেসবুক বিশ্বের এক নম্বর সােশ্যাল মিডিয়া।মার্কেটিংয়ের অন্যতম সূত্র হলাে, যেখানেই মানুষের সমাগম সেখানেই মার্কেটিং। এই দিক বিবেচনায় ফেসবুক মার্কেটিংয়ের জন্য অন্যতম আদর্শ স্থান। আর জোর দিয়ে যদি বলতে চাই তাহলে দুটি বিষয়ের উপর সামনে চলে আসে ফেসবুকে অ্যাড পরিচালনার ক্ষেত্রে।
প্রথমতঃ কস্ট পার ক্লিক (সিপিসি) গুগল অ্যাডওয়ার্ডের তুলনা ফেসবুকে অনেক কম। গুগল অ্যাডওয়ার্ড অ্যাভারেজ সিপিসি কস্ট ২.৩২ ডলার যেখানে ফেসবুকের অ্যাভারেজ সিপিসি কস্ট ০.৬৪ ডলার।
দ্বিতীয়তঃ ব্যবসায়িক লক্ষ্যের ভিন্নতা এবং বৈচিত্রের দিক দিয়ে ফেসবুকে যতাে ধরনের অ্যাড দেওয়া যায় সেটি এক কথায় বলতে অসাধারণ।
অ্যাডের ধরনগুলাে হলাে ব্র্যান্ড অ্যাওয়ারনেস, রিচ, ট্রাফিক, এনগেইজমেন্ট, অ্যাপস ইন্সটল, ভিডিও ভিউ, লিড জেনারেশন, কনর্ভাসন, ক্যাটালগ সেল, স্টোর ভিজিট। এটি ব্যবসায়ের স্তর, লক্ষ্য, ধরন, স্ট্রাটেজি ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে একেক সময় একেক রকম অ্যাড চালনা করা হয় যা অন্য কোন প্লাটফর্মে পাওয়া কঠিন।
আরেকটি বিষয় হলাে, ফেসবুক শুরু হয়েছিল নেটওয়ার্কিং এবং পারস্পারিক ভাবের আদান প্রদানের জন্য। তাই অনেকে মনে করতে পারে। যে প্লাটফর্ম নেটওয়ার্কিংয়ের জন্য সেখানে অ্যাড বা মার্কেটিং কতটুকু কার্যকরী।
অনেক সময় সম্ভাব্য ভােক্তারা আপনার দেওয়া অফার দেখে বা আপনার পণ্য দেখে তারা এটাকে সুযােগ মনে করতে পারে। কিন্তু তৎক্ষনাৎ অনেকেই এই সুযােগটি গ্রহণে হয়তাে প্রস্তুত নাও থাকতে পারে। কারণ অনেকেই এই প্লাটফর্মে বায়িং মুডে থাকেনা। কিন্তু তার মানে এই নয় যে এই প্লাটফর্মে বিক্রি হয় না।
পরিস্থিতি যাই হােক বিকল্প বিক্রির সম্ভাবনা অবশ্যই থাকে, কেউ না কেউ আপনার পণ্য ক্রয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। এজন্য আপনি যে সমাধান নিয়ে হাজির হয়েছেন সেটি যেন আপনার ভােক্তার গ্রহণ করে সে ব্যাপারে তাদের আগ্রহী করে তুলতে হবে। সেটি যেন আপনার ভােক্তাদের বাস্তব সমস্যা সমাধান করে।
আর এটি করতে হলে আপনাকে অবশ্যই সেলস ফানেল তৈরি করতে হবে। কারণ ফেসবুকে সবাই সবসময় বায়িং মুডে থাকে না। সুতরাং এটি স্বীকার করে নেওয়াটাই হবে যৌক্তিক। আর এর পরিবর্তে আপনাকে অবশ্যই সেলস ফানেলের কৌশলগুলাে কাজে লাগাতে হবে।
এখন আমরা সেলস ফানেল প্রক্রিয়ার ধাপগুলে সম্পর্কে জানার দিকে অগ্রসর হই।
আপনি প্রােডাক্ট প্রমােট করার জন্য কোন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করছেন। সেটি কোন ব্যাপার নয়। আপনার মূল উদ্দেশ্য থাকতে হবে যে কনটেন্টই তৈরি করুন নাকেন সেটি হতে হবে এনগেইজিং, হাই কোয়ালিটি এবং বিষয়র সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
শুধু লক্ষ্য রাখতে হবে এটি যেন আপনার ওয়েব সাইটকে কেন্দ্র করে তৈরি কর হয়ে থাকে। এটি যখন আপনি রিটার্গেটিং করবেন বা আরাে উন্নত ফানেল নিয়ে কাজ করতে চাইবেন তখন দরকার হবে। আপনাকে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করতে হবে যাতে আপনি বিভিন্ন শ্ৰেণীল অডিয়েন্সের কাছে পৌছাতে পারেন।
কেউ হতে পারে আপনার পণ্য দেখে খুব কম পছন্দ করেছে কিন্তু মনে মনে পরবর্তীতে কিনবে বা আরাে দেখবে বলে স্থির করেছে। আবার কেউ থাকতে পারে আপনার পণ্যটি এখনই কেনার জন্য প্রস্তুত। আপনাকে বিভিন্ন ধরনের এনগেইজিং কনটেন্টের মাধ্যমে নিশ খুঁজে বের করতে হবে।
আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হলাে তাদের এনগেইজমেন্ট লেভেলে মনােযােগ দেওয়া এবং কোন ধরনের কনটেন্টে তারা ক্রয়ে উদ্বুদ্ধ হয় সেই ধরনের কনটেন্ট তৈরি করা।
আপনি অ্যাড চালিয়ে যে ডাটাগুলাে পাবেন সেগুলাে একটু সময় নিয়ে বিশ্লেষণ করবেন, কোনটি কাজ হচ্ছে আর কোনটি কাজে দিচ্ছে না। এক্ষেত্রে সবচেয়ে মজার বিষয় হলাে যখন আপনার আগ্রহী ভােক্তারা আপনার পণ্য ক্রয় শুরু করবে বা কেনার প্রক্রিয়ার অংশ গ্রহণ করবে তখন নির্লিপ্ত ভােক্তারাও আপনার পণ্যের প্রতি আকৃষ্ট হবে।
আমরা যেমন ভােক্তা বা কাস্টমার চাচ্ছি সেটি আমরা না জানলেও ফেসবুক সেটি খুব ভালােভাবে জানে। কিন্তু তাদেরকে খুঁজে বের করতে হলে অ্যাড ম্যানেজারের সাহায্য গ্রহণ করতে হবে।
এজন্য যে কোন অ্যাড অবজেকটিভের অ্যাড সেট থেকে অডিয়েন্স সেগমেন্টে কাজ করতে হবে। আমরা যখন কোন অ্যাড রান করাতে যাবাে অ্যাড ম্যানেজার থেকে তখন এই অপশনটি পেয়ে যাবাে।
আমরা যখন অডিয়েন্স নিয়ে কাজ করবাে তখন কাস্টমস অডিয়েন্স, লুক অ্যালাইক অর্ডিয়েন্স এবং সেভ অর্ডিয়েন্স এই তিনটি অপশন পাবাে। কাস্টমস অডিয়েন্স হলাে - যে সকল ভােক্তা ইতিমধ্যে আপনার পণ্য বা সেবার প্রতি আগ্রহ প্রদর্শন করেছে তাদের কাছে আপনার ম্যাসেজ পৌছে দেওয়া। হতে পারে তাদের মােবাইল নম্বর বা ইমেইল আপনার কাছে আছে, আর আপনি তাদেরকে টার্গেট করে ক্যাম্পেইন চালালেন।
লুক অ্যালাইক অডিয়েন্স হলাে - আপনার যে অডিয়েন্স বা সম্ভাব্য ক্রেতা রয়েছে তাদের মতাে আরাে অডিয়েন্সের কাছে আপনার ম্যাসেজ পৌছে দেওয়া।
লুক অ্যালাইক অডিয়েন্স অর্থাৎ আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়েছে অথবা ফেসবুক পিক্সেলের মাধ্যমে ওয়েব সাইটে কনর্ভাসন হয়েছে প্রভৃতি ধরনের ডাটা নিয়ে আমরা এই কাজটি করতে পারি। উপরেল্লিখিত লুক অ্যালাইকের যে স্নাপশর্ট দেওয়া আছে সেখানে অডিয়েন্স সাইজ মাত্র ১% দেওয়া আছে। আমরা টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে যদি ১% সিলেক্ট করি তাহলে লুক অ্যালাইক অডিয়েন্স থেকে সবচেয়ে ভাল ফলাফল পাবাে।
কাস্টমস অডিয়েন্স এবং লুক অ্যালাইক অডিয়েন্স নিয়ে বিস্তারিত আলােচনা আছে এই বইতে। আশা রাখছি এই ব্যাপারে সেখান থেকে গভীর অন্তদৃষ্টি লাভ করবেন।
আপনি যখনই ক্যাম্পেইন বা অ্যাডের মাধ্যমে ধাপে ধাপে কোল্ড ক্লায়েন্টদেরকে আকৃষ্ট করা শুরু করবেন তখন ঐ ক্লায়েন্টরাও আপনার পণ্যের প্রতি ধীরে ধীরে আগ্রহী হতে থাকবে।
২. তারপর পিক্সেলটিকে আপনার ওয়েব সাইটে বসাতে হবে।
৩. এটি মূলতঃ রিমার্কেটিংয়ে ও ওয়েবসাইট ভিজিটরদের পুনরায় ক্রয়ের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে ব্যবহার করা হয়।
অ্যাড ম্যানেজারের যে কোন অ্যাড অবজেকটিভের শেষ ধাপে কনফার্ম বাটন চাপার আগে ট্রাকিং নামে একটি অপশন আছে। আর ট্রাকিং অপশনে পেয়ে যাবেন ফেসবুক পিক্সেল। এখন ফেসবুক পিক্সেলের সেটআপে ক্লিক করে ধাপে ধাপে অগ্রসর হলে সহজেই সেট করে ফেলতে পারবেন ফেসবুক পিক্সেল।
যারা আপনার ভিডিওটি দেখছে বা অধিকাংশ দেখেখে তাদেরকে ধরে নেওয়া যায় আপনার ব্র্যান্ড বা সার্ভিসের প্রতি সন্তুষ্ট বা আকৃষ্ট। এখন যারা আপনার ভিডিওয়ের ৪০% বা ৫০% দেখেছে তাদের টার্গেট করে আপনি যদি আবার সেই ভিডিও দিয়ে অ্যাড দেন বা আরাে কোন অফার দিয়ে কাস্টমাইজড অ্যাড দেন তাহলে আপনার পণ্যের বিক্রির সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।
এই পদ্ধতিতে আপনার সেলস ফানেলে নতুন নতুন ক্লায়েন্টের অভাব হবে না এবং খুব সহজেই ব্যবসার সমৃদ্ধি ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি হতেই থাকবে।
অনেক সময় এই ধরণের মনুষ একটু বেশি খুতখুঁতে হতে পারে অথবা হঠাৎ মানসিকতা পরিবর্তন করা বিষয় তাদের থাকতে পারে। এক্ষেত্রে যদি আপনি তাদেরকে লক্ষ্য করে বিশেষ কোন ছাড় অথবা বিশেষ কোন অফার যুক্ত করে পণ্য বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন, তাহলে উক্ত কোম্পানি বিক্রির পরিমান নিশ্চিত বেড়ে যাবে। করণ এতে তাদের মানসিকতা দ্রুত পরিবর্তন হওয়রনেক বেশি। এবং মানসিকতা পরিবর্তনের সাথে সাথে তাদের মধ্যে কেনার আগ্রহ বেড়ে যাবে।
এক্ষেত্রে তাদের জন্য প্রােডাক্টের পরিপূর্ণ বিবরণ ও গুণাবলীর বর্ণনা দেওয়া যেতে পারে। আবার যারা এই সার্ভিসটি নিয়ে সন্তুষ্ট হয়েছে তাদের টেস্টমােনিয়াল সংযুক্ত করে দেওয়া যেতে পারে।। অর্থাৎ যে পদক্ষেপ নিরে এই ধরনের ভােক্তারা আকৃষ্ট হবে তাদের সামনে তেমন ধরনের ক্যাম্পেইন পরিচারনা করতে হবে।
এই অ্যাডের উদ্দেশ্য থাকবে মানুষের মনে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া বা দ্বিধাগ্রস্থ করে দেওয়া যাতে সে অন্য কোথাও থেকে কিনতে স্বস্তি বােধ না করে।
সংক্ষেপে যদি ফেসবুক সেলস ফানেলকে ব্যাখ্যা করতে বলেন তাহলে বলতে হয় -
১. যারা কিনতে চায় এমন ধরনের অডিয়েন্সের জন্য সেগমেন্টেড কনটেন্ট ক্রিয়েট করা ওয়ার্ম অডিয়েন্স।
২. লুক অ্যালাইক অডিয়েন্স ক্রিয়েট করা।
৩. কোল্ড অডিয়েন্স বা যারা ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করছে তাদের জন্য বেস্ট কনটেন্ট প্রমােট করা। ৪. আপনার প্রমােশনের মাধ্যমে কিছু সংখ্যক কোল্ড অডিয়েন্স ওয়ার্ম অডিয়েন্স পরিণত হবে।
৫. ফেসবুক পিক্সেলের মাধ্যমে রিটার্গেটিং করা।
৬. যারা সাধারনত কনভার্ট হতে চায় না তাদের উদ্দেশ্য করে ৪ স্তরের রিমার্কেটিং ব্যবহার করা।
৭. কনর্ভাসন মাক্সিমাইজ করা।
অধিকাংশ সময় সেলস ফানেল তৈরির ধাপগুলাে অটোমেটেড হয়ে থাকে। কারণ কয়েকটি নিয়ে কাজ শুরু করলে এই প্রক্রিয়া অনেক জটিল হয়ে পড়ে। এই প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা পরীক্ষিত, করণ সময়ের সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনি কনটেন্টের পরিবর্তনে মাধ্যমে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার পথ তৈরি করে নেন এই পদ্ধতিতে। এককথায় আপনি আপনার ক্যাম্পেইন অপটিমাইজ করুন এবং কনর্ভাসন রেট বৃদ্ধি করুন।
প্রথমতঃ কস্ট পার ক্লিক (সিপিসি) গুগল অ্যাডওয়ার্ডের তুলনা ফেসবুকে অনেক কম। গুগল অ্যাডওয়ার্ড অ্যাভারেজ সিপিসি কস্ট ২.৩২ ডলার যেখানে ফেসবুকের অ্যাভারেজ সিপিসি কস্ট ০.৬৪ ডলার।
দ্বিতীয়তঃ ব্যবসায়িক লক্ষ্যের ভিন্নতা এবং বৈচিত্রের দিক দিয়ে ফেসবুকে যতাে ধরনের অ্যাড দেওয়া যায় সেটি এক কথায় বলতে অসাধারণ।
অ্যাডের ধরনগুলাে হলাে ব্র্যান্ড অ্যাওয়ারনেস, রিচ, ট্রাফিক, এনগেইজমেন্ট, অ্যাপস ইন্সটল, ভিডিও ভিউ, লিড জেনারেশন, কনর্ভাসন, ক্যাটালগ সেল, স্টোর ভিজিট। এটি ব্যবসায়ের স্তর, লক্ষ্য, ধরন, স্ট্রাটেজি ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে একেক সময় একেক রকম অ্যাড চালনা করা হয় যা অন্য কোন প্লাটফর্মে পাওয়া কঠিন।
আরেকটি বিষয় হলাে, ফেসবুক শুরু হয়েছিল নেটওয়ার্কিং এবং পারস্পারিক ভাবের আদান প্রদানের জন্য। তাই অনেকে মনে করতে পারে। যে প্লাটফর্ম নেটওয়ার্কিংয়ের জন্য সেখানে অ্যাড বা মার্কেটিং কতটুকু কার্যকরী।
অনেক সময় সম্ভাব্য ভােক্তারা আপনার দেওয়া অফার দেখে বা আপনার পণ্য দেখে তারা এটাকে সুযােগ মনে করতে পারে। কিন্তু তৎক্ষনাৎ অনেকেই এই সুযােগটি গ্রহণে হয়তাে প্রস্তুত নাও থাকতে পারে। কারণ অনেকেই এই প্লাটফর্মে বায়িং মুডে থাকেনা। কিন্তু তার মানে এই নয় যে এই প্লাটফর্মে বিক্রি হয় না।
পরিস্থিতি যাই হােক বিকল্প বিক্রির সম্ভাবনা অবশ্যই থাকে, কেউ না কেউ আপনার পণ্য ক্রয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। এজন্য আপনি যে সমাধান নিয়ে হাজির হয়েছেন সেটি যেন আপনার ভােক্তার গ্রহণ করে সে ব্যাপারে তাদের আগ্রহী করে তুলতে হবে। সেটি যেন আপনার ভােক্তাদের বাস্তব সমস্যা সমাধান করে।
আর এটি করতে হলে আপনাকে অবশ্যই সেলস ফানেল তৈরি করতে হবে। কারণ ফেসবুকে সবাই সবসময় বায়িং মুডে থাকে না। সুতরাং এটি স্বীকার করে নেওয়াটাই হবে যৌক্তিক। আর এর পরিবর্তে আপনাকে অবশ্যই সেলস ফানেলের কৌশলগুলাে কাজে লাগাতে হবে।
এখন আমরা সেলস ফানেল প্রক্রিয়ার ধাপগুলে সম্পর্কে জানার দিকে অগ্রসর হই।
স্টেপ ০১ # ক্রিয়েট সেগমেন্টেড কনটেন্টঃ
সেলস ফানেল নিয়ে কাজ শুরু করতে হলে আপনাকে বেশ কয়েক প্রকার কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। এর মধ্যে থাকতে পারে ইপিক ব্লগ পােস্ট, ইনফোগ্রাফিক, স্লাইড শাে, ওয়েবনিয়ার, ই-বুক।আপনি প্রােডাক্ট প্রমােট করার জন্য কোন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করছেন। সেটি কোন ব্যাপার নয়। আপনার মূল উদ্দেশ্য থাকতে হবে যে কনটেন্টই তৈরি করুন নাকেন সেটি হতে হবে এনগেইজিং, হাই কোয়ালিটি এবং বিষয়র সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
শুধু লক্ষ্য রাখতে হবে এটি যেন আপনার ওয়েব সাইটকে কেন্দ্র করে তৈরি কর হয়ে থাকে। এটি যখন আপনি রিটার্গেটিং করবেন বা আরাে উন্নত ফানেল নিয়ে কাজ করতে চাইবেন তখন দরকার হবে। আপনাকে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করতে হবে যাতে আপনি বিভিন্ন শ্ৰেণীল অডিয়েন্সের কাছে পৌছাতে পারেন।
কেউ হতে পারে আপনার পণ্য দেখে খুব কম পছন্দ করেছে কিন্তু মনে মনে পরবর্তীতে কিনবে বা আরাে দেখবে বলে স্থির করেছে। আবার কেউ থাকতে পারে আপনার পণ্যটি এখনই কেনার জন্য প্রস্তুত। আপনাকে বিভিন্ন ধরনের এনগেইজিং কনটেন্টের মাধ্যমে নিশ খুঁজে বের করতে হবে।
স্টেপ ০২ # ওয়ার্ম/আগ্রহী অর্ডিয়েন্সের জন্য কনটেন্ট তৈরি করুনঃ
যারা আপনার পণ্য বা সেবা ক্রয়ের জন্য খুবই আগ্রহী তাদের জন্য প্রথমে কনটেন্ট তৈরি করুন। এর অর্থ হলাে আপনার পণ্য সম্পর্কে ভােক্তারা কোনভাবে জানতে পেরেছে বা আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখেছে। আপনার ফেসবুক পেইজের ফ্যান থেকেও যেমন আসতে পারে, তেমনি আবার ওয়েব সাইটের রিটার্গেটিং লিস্ট থেকেও আসতে পারে।আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হলাে তাদের এনগেইজমেন্ট লেভেলে মনােযােগ দেওয়া এবং কোন ধরনের কনটেন্টে তারা ক্রয়ে উদ্বুদ্ধ হয় সেই ধরনের কনটেন্ট তৈরি করা।
আপনি অ্যাড চালিয়ে যে ডাটাগুলাে পাবেন সেগুলাে একটু সময় নিয়ে বিশ্লেষণ করবেন, কোনটি কাজ হচ্ছে আর কোনটি কাজে দিচ্ছে না। এক্ষেত্রে সবচেয়ে মজার বিষয় হলাে যখন আপনার আগ্রহী ভােক্তারা আপনার পণ্য ক্রয় শুরু করবে বা কেনার প্রক্রিয়ার অংশ গ্রহণ করবে তখন নির্লিপ্ত ভােক্তারাও আপনার পণ্যের প্রতি আকৃষ্ট হবে।
স্টেপ ০৩ # টার্গেট লুক অ্যালাইক অর্ডিয়েন্সঃ
আপনার সম্ভাব্য ভােক্তার মতাে একই রকম ভােক্তা খুজে বের করাই হলাে লুক অ্যালাইক অডিয়েন্সের মূল উদ্দেশ্য। একে আমরা অন্যভাবে বলতে পারি, আপনার যারা টার্গেটেড অর্ডিয়েন্স রয়েছে তাদের মতাে ইন্টারেস্ট, হ্যাবিট, বিহেভিয়ারের নতুন অডিয়েন্স খুঁজে বের করাই হােল লুক অ্যালাইক অডিয়েন্সের কাজ।আমরা যেমন ভােক্তা বা কাস্টমার চাচ্ছি সেটি আমরা না জানলেও ফেসবুক সেটি খুব ভালােভাবে জানে। কিন্তু তাদেরকে খুঁজে বের করতে হলে অ্যাড ম্যানেজারের সাহায্য গ্রহণ করতে হবে।
এজন্য যে কোন অ্যাড অবজেকটিভের অ্যাড সেট থেকে অডিয়েন্স সেগমেন্টে কাজ করতে হবে। আমরা যখন কোন অ্যাড রান করাতে যাবাে অ্যাড ম্যানেজার থেকে তখন এই অপশনটি পেয়ে যাবাে।
আমরা যখন অডিয়েন্স নিয়ে কাজ করবাে তখন কাস্টমস অডিয়েন্স, লুক অ্যালাইক অর্ডিয়েন্স এবং সেভ অর্ডিয়েন্স এই তিনটি অপশন পাবাে। কাস্টমস অডিয়েন্স হলাে - যে সকল ভােক্তা ইতিমধ্যে আপনার পণ্য বা সেবার প্রতি আগ্রহ প্রদর্শন করেছে তাদের কাছে আপনার ম্যাসেজ পৌছে দেওয়া। হতে পারে তাদের মােবাইল নম্বর বা ইমেইল আপনার কাছে আছে, আর আপনি তাদেরকে টার্গেট করে ক্যাম্পেইন চালালেন।
লুক অ্যালাইক অডিয়েন্স হলাে - আপনার যে অডিয়েন্স বা সম্ভাব্য ক্রেতা রয়েছে তাদের মতাে আরাে অডিয়েন্সের কাছে আপনার ম্যাসেজ পৌছে দেওয়া।
লুক অ্যালাইক অডিয়েন্স অর্থাৎ আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়েছে অথবা ফেসবুক পিক্সেলের মাধ্যমে ওয়েব সাইটে কনর্ভাসন হয়েছে প্রভৃতি ধরনের ডাটা নিয়ে আমরা এই কাজটি করতে পারি। উপরেল্লিখিত লুক অ্যালাইকের যে স্নাপশর্ট দেওয়া আছে সেখানে অডিয়েন্স সাইজ মাত্র ১% দেওয়া আছে। আমরা টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে যদি ১% সিলেক্ট করি তাহলে লুক অ্যালাইক অডিয়েন্স থেকে সবচেয়ে ভাল ফলাফল পাবাে।
কাস্টমস অডিয়েন্স এবং লুক অ্যালাইক অডিয়েন্স নিয়ে বিস্তারিত আলােচনা আছে এই বইতে। আশা রাখছি এই ব্যাপারে সেখান থেকে গভীর অন্তদৃষ্টি লাভ করবেন।
স্টেপ ০৪ # আপনার সর্বোৎকৃষ্ট কনটেন্ট প্রমােট করুনঃ
সব সময় যে ওয়ার্ম কাস্টমার বা যে ক্রয় করবে খুব শিগই তার জন্য। কনটেন্ট তৈরি করতে হবে এমন নয়। সেলস ফানেলের চাকা সচল রাখার জন্য আপনার কোল্ড কাস্টমার বা যারা ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না তাদের জন্যও কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। এর মধে ভিডিও, ব্লগ, ওয়েবনিয়ার, ব্যানার ইত্যাদি থাকতে পারে।আপনি যখনই ক্যাম্পেইন বা অ্যাডের মাধ্যমে ধাপে ধাপে কোল্ড ক্লায়েন্টদেরকে আকৃষ্ট করা শুরু করবেন তখন ঐ ক্লায়েন্টরাও আপনার পণ্যের প্রতি ধীরে ধীরে আগ্রহী হতে থাকবে।
স্টেপ ০৫ # ফলপ্রসু রিমার্কেটিংঃ
আপনার কোল্ড কাস্টমার বা যে সকল কাস্টমার এখনও দ্বিধাদ্বন্ধে রয়েছে ক্রয়ের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তাদের জন্য আপনার বিশেষ নজর দিতে হবে।। তাদের জন্য শুধু একবারে অ্যাড দিলে হবে না। তাদের ক্রয়ে উদ্বুদ্ধ করতে হলে অনলাইন প্লাটফর্মের যে যে জায়গায় তারা যাবে সেখানে তাদের অ্যাড দেখাতে হবে। তাহলে তারা ক্রয়ে উদ্বুদ্ধ হবে বলে ধরে নেওয়া যায়। আর এক্ষেত্রে রিমার্কেটিং কার্যকরি ভূমিকা পালন করে। সেক্ষেত্রে ফেসবুক হলাে উপযুক্ত স্থান এই রিমার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে।স্টেপ ০৬ # ফেসবুক পিক্সেল ব্যবহার করুনঃ
মার্কেটিংয়ের ফেসবুক পিক্সেল অন্যতম অব্যর্থ অস্ত্র।কিভাবে এটি ব্যবহার করতে হয়ঃ
১. প্রথম আপনি ফেসবুক পিক্সেল তৈরি করবেন।২. তারপর পিক্সেলটিকে আপনার ওয়েব সাইটে বসাতে হবে।
৩. এটি মূলতঃ রিমার্কেটিংয়ে ও ওয়েবসাইট ভিজিটরদের পুনরায় ক্রয়ের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে ব্যবহার করা হয়।
অ্যাড ম্যানেজারের যে কোন অ্যাড অবজেকটিভের শেষ ধাপে কনফার্ম বাটন চাপার আগে ট্রাকিং নামে একটি অপশন আছে। আর ট্রাকিং অপশনে পেয়ে যাবেন ফেসবুক পিক্সেল। এখন ফেসবুক পিক্সেলের সেটআপে ক্লিক করে ধাপে ধাপে অগ্রসর হলে সহজেই সেট করে ফেলতে পারবেন ফেসবুক পিক্সেল।
স্টেপ ০৭ # ভিডিও রিমার্কেটিং করাঃ
বর্তমান সময়ে ফেসবুকে মার্কেটিং অথবা রিমার্কেটংয়ে ফেসবুক খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আপনি যখন কোন ধরনের ভিডিও আপনার ফেসবুক পেইজ থেকে শেয়ার করবেন তখন এরকম অনেক মানুষ থাকবে যারা সম্পূর্ণ ভিডিওটি দেখবে, কেউ কেউ অল্প একটু দেখে বন্ধ করে দিবে, আবার কেউ কেউ আছে যারা ভিডিও এর অর্ধেক বা তার কম/বেশি দেখে থাকবে।যারা আপনার ভিডিওটি দেখছে বা অধিকাংশ দেখেখে তাদেরকে ধরে নেওয়া যায় আপনার ব্র্যান্ড বা সার্ভিসের প্রতি সন্তুষ্ট বা আকৃষ্ট। এখন যারা আপনার ভিডিওয়ের ৪০% বা ৫০% দেখেছে তাদের টার্গেট করে আপনি যদি আবার সেই ভিডিও দিয়ে অ্যাড দেন বা আরাে কোন অফার দিয়ে কাস্টমাইজড অ্যাড দেন তাহলে আপনার পণ্যের বিক্রির সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।
এই পদ্ধতিতে আপনার সেলস ফানেলে নতুন নতুন ক্লায়েন্টের অভাব হবে না এবং খুব সহজেই ব্যবসার সমৃদ্ধি ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি হতেই থাকবে।
স্টেপ ০৮ # আবারাে রিমার্কেটিং করুনঃ
যখন বেশ কিছু সংখ্যক ক্রেতা অ্যাড টু কর্ডে ক্লিক করেও সেলস কমপ্লিট করে বেরিয়ে গেল বা চেক আউটে ক্লিক করেও ডিল ক্লোজ না করে বেরিয়ে গেল, সে ক্ষেত্রে এই ধরণের ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকা প্রয়ােজন।অনেক সময় এই ধরণের মনুষ একটু বেশি খুতখুঁতে হতে পারে অথবা হঠাৎ মানসিকতা পরিবর্তন করা বিষয় তাদের থাকতে পারে। এক্ষেত্রে যদি আপনি তাদেরকে লক্ষ্য করে বিশেষ কোন ছাড় অথবা বিশেষ কোন অফার যুক্ত করে পণ্য বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন, তাহলে উক্ত কোম্পানি বিক্রির পরিমান নিশ্চিত বেড়ে যাবে। করণ এতে তাদের মানসিকতা দ্রুত পরিবর্তন হওয়রনেক বেশি। এবং মানসিকতা পরিবর্তনের সাথে সাথে তাদের মধ্যে কেনার আগ্রহ বেড়ে যাবে।
স্টেপ ০৯ # লিডকে তদারকি করতে একটু বেশি মনােযােগ দেওয়াঃ
অনেক সময় অনেক মটিভিটেড কাস্টমাররাওও না কিনে অনালইন থেকে। বের হয়ে যায়। যেমন অনেকে ইমেলইল মার্কেটিয়ের ইতিবাচক মনােভাব পােষণ করে কিন্তু তারা কিনতে চায় না। না কেনার এই প্রবণতা ৭৫% এর মতাে।এক্ষেত্রে তাদের জন্য প্রােডাক্টের পরিপূর্ণ বিবরণ ও গুণাবলীর বর্ণনা দেওয়া যেতে পারে। আবার যারা এই সার্ভিসটি নিয়ে সন্তুষ্ট হয়েছে তাদের টেস্টমােনিয়াল সংযুক্ত করে দেওয়া যেতে পারে।। অর্থাৎ যে পদক্ষেপ নিরে এই ধরনের ভােক্তারা আকৃষ্ট হবে তাদের সামনে তেমন ধরনের ক্যাম্পেইন পরিচারনা করতে হবে।
স্টেপ ১০ # হার্ড শেলঃ
কিন্তু এতাে কিছুর পরও কিছু কথা থেকেই যায়। অনেক সময় ভিডিও অ্যাড অথবা অন্যান্য অ্যাড দেখেও তারা কিনতে চায় না। এক্ষেত্রে কেন তারা এই পণ্যটি কিনবে, কিনলে কি কি ধরনের উপকার হবে, না কিনলে কি কি ধরনের ক্ষতি হবে, কি কি ধরনের কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ করে আরেকটি অ্যাড রান করাতে হবে।এই অ্যাডের উদ্দেশ্য থাকবে মানুষের মনে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া বা দ্বিধাগ্রস্থ করে দেওয়া যাতে সে অন্য কোথাও থেকে কিনতে স্বস্তি বােধ না করে।
ফেসবুক ফানেলের প্রদর্শনঃ
১০ টি ধাপে আমরা ফেসবুক ফানেলের পদক্ষেপগুলাে আমরা দেখলাম। এবার এক নজরে লিস্টের মাধ্যমে বিষয়টি বােঝার চেষ্টা করবাে।সংক্ষেপে যদি ফেসবুক সেলস ফানেলকে ব্যাখ্যা করতে বলেন তাহলে বলতে হয় -
১. যারা কিনতে চায় এমন ধরনের অডিয়েন্সের জন্য সেগমেন্টেড কনটেন্ট ক্রিয়েট করা ওয়ার্ম অডিয়েন্স।
২. লুক অ্যালাইক অডিয়েন্স ক্রিয়েট করা।
৩. কোল্ড অডিয়েন্স বা যারা ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করছে তাদের জন্য বেস্ট কনটেন্ট প্রমােট করা। ৪. আপনার প্রমােশনের মাধ্যমে কিছু সংখ্যক কোল্ড অডিয়েন্স ওয়ার্ম অডিয়েন্স পরিণত হবে।
৫. ফেসবুক পিক্সেলের মাধ্যমে রিটার্গেটিং করা।
৬. যারা সাধারনত কনভার্ট হতে চায় না তাদের উদ্দেশ্য করে ৪ স্তরের রিমার্কেটিং ব্যবহার করা।
৭. কনর্ভাসন মাক্সিমাইজ করা।
অধিকাংশ সময় সেলস ফানেল তৈরির ধাপগুলাে অটোমেটেড হয়ে থাকে। কারণ কয়েকটি নিয়ে কাজ শুরু করলে এই প্রক্রিয়া অনেক জটিল হয়ে পড়ে। এই প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা পরীক্ষিত, করণ সময়ের সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনি কনটেন্টের পরিবর্তনে মাধ্যমে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার পথ তৈরি করে নেন এই পদ্ধতিতে। এককথায় আপনি আপনার ক্যাম্পেইন অপটিমাইজ করুন এবং কনর্ভাসন রেট বৃদ্ধি করুন।
Post Related Things: সেলস ফানেল, সেলস ফানেল কি, বাংলা সেলস ফানেল, do সেলস ফানেলা, সেলস ফানেল কি 2022, why সেলস ফানেলে, does সেলস ফানেলা, ফেইসবুক পেইজে সেলস বাড়ান, ফেসবুক গ্রুপে সেলস বাড়ানোর উপায়, ফেসবুক, ফানেল, সেলস, সেলস ফানেল, অনলাইন সেল, ফ্রিল্যান্সিং কি, পারফেক্ট মার্কেটিং, পার্ফেক্ট মার্কেটিং, ফ্রীল্যান্সিং করে আয়, ফ্রীল্যানসিং এজেন্সী, আউটসোর্সিং কিভাবে শুরু করব, ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো, ফ্রীল্যান্সিং সম্পর্কে টিপস, অনলাইন ব্যবসা কিভাবে শুরু করা যায়, sales funnel, facebook ads funnel, facebook ads, facebook ads sales funnel, facebook funnel, facebook sales funnel, facebook ad funnel, facebook ad sales funnel, how to build a sales funnel, facebook funnels, sales funnel facebook ads, sales funnel tutorial, sales funnel strategy, what is a sales funnel, facebook ads tutorial, sales funnels, facebook advertising, facebook marketing, facebook ad funnel strategy, facebook ads funnel strategy, how to create a sales funnel