ইনবাউন্ড মার্কেটিং Inbound Marketing
ইনবাউন্ড মার্কেটিং Inbound Marketing
ডিজিটাল মার্কেটিং কি? (পূর্ণাঙ্গ ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর কৌশল)ঃ
আপনি কি জানেন কিভাবে ভােক্তাকে চালকের আসনে বসাতে হয় এবং আপনি কিভাবে উত্যুল ভােক্তাকে চির জীবনের জন্য লিডে পরিণত করবেন? হ্যাঁ! এটা সম্ভব যদি আপনি ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর কৌশল অনুসরণ করেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর জগৎ এ এটি খুবই ফলপ্রসু।একই সাথে সার্চ ইঞ্জিন আপনার সাইটে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এই কথাটি মনে রেখে এই আর্টিকেল থেকে আপনি শিখবেন ইনবাউন্ড মার্কেটিং কি এবং কিভাবে এটি কাজ করে। একই সাথে আমি পূর্ণাঙ্গ ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর কৌশল আলােচনা করবাে। চলুন তাহলে ডিজিটাল জগৎ এ ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর সাথে পরিচয় হওয়া যাক।
ইনবাউন্ড মার্কেটিং আপনার ওয়েব সাইটকে জৌলুসপূর্ণ রাখতে সহায়তা করবে। এটি সার্চ ইঞ্জিনের রাঙ্কিং এ উপরে আসতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। অন্যভাবে বলা যায় এটি আপনার পণ্যের ব্রান্ডের সুনাম বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। তাই সংক্ষেপে বলতে হয় ইনাবউন্ড মার্কেটিং এর উপকারের কোন সীমা নেই।
ইনবাউন্ড মার্কেটিং কি?
হােয়াইট হ্যাট পন্থায় ইনবাউন্ড মার্কেটিং হলাে অন্যতম সেরা কৌশল। সাধারণ ভাষায় ভােক্তাকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন প্রকার সামানজস্যপূর্ণ তথ্য - উপাত্ত দিয়ে ক্রয়ে উৎসাহিত করাকে ইনবাউন্ড মার্কেটিং বলে। ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর ইতিবাচক দিক হলাে - আপনি ব্লগ, সার্চ ইঞ্জিন, ইভেন্ট, কনটেন্ট মার্কেটিং এবং সােসাল মিডিয়ার হতে আপনি সম্ভাব্য ক্রেতাকে খুঁজে পাবেন। গুগল ইনাবন্ড মার্কেটিং এর সব পদ্ধতিই পছন্দ করে।যখন বহিঃবিশ্বে ইনবাউন্ড মার্কেটিং কাজ করে, তখন ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর সাফল্য নির্ভর করে মান সম্মত তথ্য-উপাত্ত দিয়ে ভােক্তাকে প্রােরােচিত করার মধ্য দিয়ে এবং সােসাল মিডিয়া ও সার্চ ইঞ্জিনে প্রচারণার মাধ্যমে।
ইনবাউন্ড মার্কেটিং হলাে অপরিচিত ব্যক্তিকে ভােক্তা করার সর্বোৎকৃষ্ট পদ্ধিত। নির্দিষ্ট ভাবে বলা যায় ইনবাউন্ড মার্কেটিং কে চার ভাগে ভাগ করা যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে আপনি যদি সকল উপ-কৌশলগুলাে সুন্দরভাবে। আয়ত্ত করতে পারেন তাহলে এর প্রতিটি দিকে সাফল্য পাবেন।
বহুল ব্যবহৃত চারটি ধাপ হলাে - আক্রমণ, রূপান্তর করণ, বিক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করণ এবং উৎফুল্ল করণঃ
আপনাকে বিশেষভাবে স্মরণ রাখতে হবে ভােক্তারা এখন খুবই স্মার্ট। তারা তাদের প্রয়ােজনিয়তার কথা মাথায় রেখেই মাথায় রেখেই ক্রয়ের সিদ্ধান্ত। নেয় এবং আপনি কি সেটি পূরণ করতে পারবেন? অন্যথায় আপনি যদি প্রাচীন মার্কেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করেন তাহলে আপনি পিছিয়ে পড়বেন।
এ কথাটি মাথায় রেখেই আপনাকে ভােক্তার মনঃতত্ত্ব বুঝতে হবে এবং ভােক্তাকে আকৃষ্ট করার প্রয়ােজনিয় সকল কৌশল ইনবাইন্ড মার্কেটিং এর মধ্যে রয়েছে। আপনি যদি এটি করতে পারেন তাহলে আপনার ব্যবসা দ্রুত সম্প্রসারণ ঘটবে এবং চির জীবনের জন্য আপনার ব্যবসা উঁচু পর্যায়ে অবস্থান করবে।
একই সাথে আপনি একটি ব্রান্ড তৈরি করবেন যেখানে ভােক্তারা সন্তুষ্ট হবে এবং তারা আপনার ব্যবসায়ের সাথে লেনদেন করবে। সুতরাং ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর ম্যাজিক কি? আসুন আমরা বিস্তারিত এর আলােচনা করি।
ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর পূর্ণাঙ্গ নিয়মাবলিঃ
ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর সৌন্দর্য হলাে বিক্রয় লক্ষ্যমাত্র অর্জনের মাধ্যমে ভােক্তাদের অভিজ্ঞতা বুঝতে পারা। এই কারণে মার্কেটিং এর সাফল্যকে ধরে রাখার জন্য এই পদ্ধতি দ্রুত প্রসার ঘটছে।১) আক্রমণ – আপনার ওয়েব সাইটকে সমৃদ্ধ করুনঃ
আমি বুঝতে পারছি ভিজিটররা শুধু আপনার ওয়েব সাইটে আসলেই আপনি সন্তুষ্ট হতে পারছেন না। আপনি সম্ভাব্য ভােক্তাদেরকে সম্পৃক্ত করতে চাচ্ছেন এবং তাদের লিডে পরিণত করতে চাচ্ছেন। একই সাথে আপনি সন্তুষ্ট ভােক্তাদের অভিজ্ঞতার স্বরূপটিও দেখতে চাচ্ছেন। এটি করার একমাত্র পন্থা হলাে সামানজস্যপূর্ণ তথ্য সরবারহ করা। তারা যখন আপনার কাছ থেকে চলে যেতে চাইবে ঠিক সেই সময়ে আপনাকে কনটেন্ট/মুল বিষয় বস্তু প্রদর্শন করতে হবে।ক) ব্লগিং: ব্লগিং হলাে ইনবাউন্ড মার্কেটিং শুরু করার সবচেয়ে ফলপ্রসু পদ্ধতি। এটি অপরিচিত কোন ব্যক্তিকে আপনার ওয়েব সাইটে থাকতে সাহায্য করবে। একই সাথে যখন তারা আপনার ওয়েব সাইট থেকে তাদের প্রশ্নের জবাব খুজে পাবে, তখন তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্রয়ে উদ্বুদ্ধ হবে। তারা যা জানতে চায় সেই কনটেন্ট তৈরি করতে ভুলে যাবেন না এবং আপনাকে তাদের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
খ) কনটেন্ট স্ট্র্যাটিজি/কৌশল: একমাত্র কনটেন্টই দ্রুত বিক্রয়ের ব্যবস্থা করতে পারবে না। বিক্রয় সম্পাদনের জন্য আপনাকে কৌশল বাড়াতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ, কি ধরনের কনটেন্ট ভােক্তারা খুঁজছে এবং কোন ধরনের কনটেন্ট ভােক্তাদের চাহিদা পূরণ করবে। একই সাথে নিশ্চিত করুন ভােক্তারা যেখানে কনটেন্ট খুজছে সেখানে যেন আপনার কনটেন্ট পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকে।
গ) সােসাল মিডিয়া: তথ্য বহুল কনটেন্ট দ্বারা সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যম/সােসাল মিডিয়া হতে সম্ভাব্য ভােক্তাদের খুঁজে বের করা যায়। এজন্য আপনাকে তথ্যবহুল মূল্যবান এবং সঠিক সিদ্ধান্ত উপযােগি উৎকৃষ্ট মানের দৃষ্টি নন্দন কনটেন্ট তৈরি করতে হবে।
২) কনভার্ট/রূপান্তর - বিক্রয়ের জন্য দল গঠন করুনঃ
যখন ভিজিটররা তথ্যের জন্য আপনার ওয়েব সাইটে আসবে অথবা আপনার সেবার হালনাগাদ তথ্য জানতে আসবে তখন আপনাকে কনভার্টকে লিডে পরিণত করার পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। আপনি এটি করতে পারেন একটি ফর্ম সংযুক্ত করে বা তাদের ইমেইল অ্যাড্রেস সংগ্রহ করে বা কোথাও তাদের সাথে সাক্ষাৎ করে। এর অর্থ হলাে আপনাকে তাদেরকে প্রােরচিত করতে হবে এবং তাদের সাথে ভাবের আদান প্রদানের জন্য সম্ভাব্য পথ খুঁজে বের করতে হবে। আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে তাদের সাথে সংযােগ রক্ষার জন্ন কোন পদ্ধতি আপনার ক্ষেত্রে কার্যকর। নিচের পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি ভাবের আদান-প্রদান বাড়াতে পারেন।ক) ফর্ম: লিড তৈরি করার জন্য এটি খুব কার্যকরি পন্থা। আপনার সানিধ্যে থাকার জন্য বা একই রকম মান সম্পন্ন কনটেন্ট ভবিষ্যতে পাবার জন্য তাদের ফর্ম পূরণে উৎসাহিত করুন। খুব কার্যকরি ফর্ম তৈরি করুন এবং যতটুকু সম্ভব ফর্মকে ছিমছাম রাখুন। এটা এভাবে তৈরি করুন যাতে পাঠকরা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ফর্মটি পুরণ করতে পারে।
খ) মিটিং: ভােক্তাদের সাথে ভাবের আদান-প্রদানের আরেকটি মাধ্যম হলাে তাদের সাথে মিটিং এর আয়ােজন করা। আপনি ফোন কলের মাধ্যমে, ভার্চুয়াল মিটিং প্লাটফর্মে বা মুখােমুখি মিটিং করতে পারেন। কিন্তু সূচারুভাবে মিটিং সম্পন্ন করার জন্য ভার্চুয়াল পদ্ধতিই উৎকৃষ্ট। একটি ভাল প্রেজেনটেশন দেবার জন্য তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করুন, আপনার ওয়েব সাইটের কনটেন্টকে নির্দেশ করে তাদের এমনভাবে গাইড লাইন দিন যাতে আপনি এই ব্যাপারে দক্ষ।
গ) ম্যাসেজ: ভােক্তার সাথে সম্পৃক্ত হােন। ডিজিটাল মাধ্যমে আপনার পণ্য বা সেবা বিক্রির জন্য উৎসাহিত লােকদের সাথে চ্যাটিং করা অন্যতম মাধ্যম। যখন ভােক্তারা দেখবে আপনি দায়িত্বশীল এবং তাদের মূল্যায়ন। করছেন তখন তারা আপনার সেবার প্রতি আকৃষ্ট হবে। অন্যদিকে আপনার সেবার কথা বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনার ওয়েব সাইটের ম্যাসেজ অপশন ব্যবহার করে তাদের অবহিত করুন। এটা তাদেরকে আপনার নতুন সেবা এবং পণ্যের হালনাগাদ তথ্য জানতে সাহায্য করবে।
ঘ) সি আর এম: সি আর এম বলতে কাস্টমার রিলেশন ম্যানেজমেন্টকে বােঝায়। পরবর্তী পর্যায়ে ভােক্তার সাথে দেনদেনের জন্য এটা খুবই কার্যকরি। পদ্ধতি। ক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে এটা আপনাকে সেবা প্রদর্শণে সাহায্য করবে। আপনি যদি ক্রেতাদের চাহিদা তুলে ধরতে ধরতে পারেন তাহলে তাহলে আপনি প্রতিদিনই তাদের সাথে ফলপ্রসু আলােচনা করতে পারবেন। সুতরাং একটা ভাল ডাটা সংরক্ষণ করা এবং এটি অনুসরণ করে কাজ করা খুবই প্রয়ােজনিয়।
৩) ক্লোজ/লেনদেন সম্পন্নকরণ - সেলসকে পুনরাবৃত্তি করুনঃ
আপনাকে মানসন্মত কনটেন্ট তৈরি করতে হবে ভােক্তাদের চাহিদা পূরণের জন্য এবং তাদের খুশি করবারজন্য। একই সময় আপনাকে লিডও তৈরি করতে হবে। দীর্ঘ সময়ের জন্য লিডকে পুনঃপুন ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমি মনে করি আপনি যদি আপনার বর্তমান ভােক্তাকে নতুন পণ্যের ভােক্তায় পরিণত করতে না পারেন তাহলে আপনি সঠিক মার্কেটিং কৌশল অনুসরণ করছেন না। এজন্য আপনাকে আপনার পূর্বতন ভােক্তার সাথে কাজ করতে হবে। তাহলে দেখা যাক আপনি কিভাবে আপনার বিক্রয় প্রক্রিয়াকে ক্রমান্বয়ে চালু রাখতে পারেন।ক) লিড তদারকি করা: আপনাকে মনে রাখতে হবে প্রচুর পরিশ্রমের ফলে আপনি প্রথম লিডটি পেয়েছেন। সুতরাং আপনি এটি পুনরায় তৈরি করতে পারেন, এতে পূর্বের চেয়ে আপনার জন্য কম খরচ হবে। এজন্য আপনাকে বর্তমানের লিডগুলােকে তদারকি করতে হবে। আপনি কিভাবে পূর্বের লিডকে তদারকি করবেন? আপনার লিডের ধরন বুঝে সর্বোৎকৃষ্ট পথটি খুঁজে বের করতে হবে। আপনি ম্যাসেজ বা একই ধরনের মার্কেটিং করতে পারেন।
খ) ইমেইল ফলােআপ: লিড তদারকির অথবা আপনার বর্তমান ভােক্তাদের আপডেট সার্ভিসের কথা জানানাের জন্য ইমেইল মার্কেটিং খুবই কার্যকরি। পদ্ধতি। একই সাথে আপনাকে ভােক্তার অভিরুচির বিষয়ে খবরাখবর সংগ্রহের জন্য তাদেরকে কল করে বা তাদের ওয়েব সাইট হতে তাদের ব্যক্তি চরিত্র সম্পর্কে ধারনা নিতে হবে। আপনি যদি এটি করতে পারেন। তাহলে সামনের দিকে কার্যকরভাবে অগ্রসর হবে।
গ) লিডের ব্যাপারে বাছবিচার করুন: এক সময় আপনার কোম্পানি বড় হবে, আপনি অনেক ভােক্তা তৈরি করতে সক্ষম হবেন এবং আপনি আপনার কোম্পানির জন্য নতুন পণ্য ও সেবা আনবেন। তখন হয়তাে আপনি পূর্বের ভােক্তাদের দেখভাল করা বন্ধ করে দিবেন। কিন্তু এটাই হবে আপনার জন্য ভুল পদক্ষেপ। সিআরএম ডাটা বেজ থেকে মূল্যবান ভােক্তাদের বেছে আলাদা করার গুরুত্বপূর্ণ কাজ অথবা আপনি সেই সমস্ত ফলপ্রসু ভােক্তাদের বেশি গুরুত্ব দিবেন যারা সাধারণভাবে আপনাকে ভালবাসে।
4) ডিলাইট - মার্কেটিং উইথ ওয়ার্ডস অফ মাউথঃ
৪) উৎফুল্ল করা: ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর সৌন্দর্য হলাে ভােক্তাদের সুখকর অভিজ্ঞতা লাভ করানাে। একই সাথে আপনাকে শ্রেষ্ঠ পণ্য ও সেবা পরিদর্শন করতে হবে। অন্য দিকে, আপনাকে তাদেরকে বিভিন্নভাবে দেখভাল করতে হবে এবং ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর সমস্ত পদ্ধতি প্রয়ােগ আপনাকে খুশি করবে যখন আপনি দেখবেন ভােক্তারা তাদের পরিবারের। সদস্য, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের আপনার পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে সুপারিশ করছে। এজন্য আপনাকে পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে নতুন কৌশল প্রয়ােগ করতে হবে, আপনার পণ্যের গুণগত মান আরাে উন্নয়ন করতে হবে এবং আপনার ভােক্তাদের সাথে আপনার ভাবের আদান-প্রদান করতে হবে। কিন্তু এটা আপনি কিভাবে করবেন?ক) উন্নত ভােক্তা সেবা প্রদান: আপনার ভােক্তার সাথে বিক্রয়ের আগেই শুধু বন্ধুর মতাে ব্যবহার করবেন না বরঞ্চ পণ্য বিক্রির পরের একই ব্যবহার অব্যহত রাখুন। যখন তারা কোন সমস্যায় পতিত হয় তখন আপনি সেবা প্রদানের মাধ্যমে সমস্যার ১০০% সমাধান করে তাকে খুশি করুন। আপনি শুধু একজনের কাছে পণ্য কিক্রির করেই তাকে খুশি করতে পারবেন না, একই সাথে আপনাকে বিক্রিত পণ্যের ব্যাপারে খােজ-খবর রাখতে হবে। অন্যথায় আপনাকে এই কাজগুলাে করার জন্য সঠিক ব্যবস্থাপনা ও কৌশল গ্রহন করতে হবে।
খ) উঁচুমানের কনটেন্ট প্রস্তুত করুন: ডিজিটাল বিজনেসের ক্ষেত্রে কনটেন্ট হলাে মার্কেটিং এর প্রাণ। যখন আপনি অর্থ তৈরি করতে চাইবেন তখন সর্বদা আপনাকে স্মার্ট কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। এটা ম্যাজিকের মতাে কাজ করবে। যখন ভােক্তারা আপনার পরিসেবা এবং তৎসংলগ্ন বিষয়ে অনেক তথ্য দেখবে, তখন তারা আপনার সাথে থাকতে পছন্দ করবে।
গ) সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ুন: হ্যাঁ! সর্বত্র আপনার উপস্থিতি জানান দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা আপনার ভােক্তাদের নিশ্চিত করবে যে আপনাকে তারা সব জায়গায় পাবে। এটা আপনার ব্রান্ড ভ্যালু বাড়াতে সাহায্য করবে এবং একই সাথে আপনি আপনার গ্রাহকদের সাথে সঠিকভাবে সহ-অবস্থান করতে পারবেন। এতে করে আপনার ওয়েব সাইটে অনেক বেশি পরিমাণ ট্রাফিক আসবে এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে লিড আসা শুরু করবে।
ইনবাউন্ড এবং আউট-বাউন্ড মার্কেটিং এর পার্থক্যঃ
আপনি যদি ইনবাউন্ড ও আউট-বাউন্ডের মধ্যে পার্থক্য দেখেন তাহলে আপনি বুঝবেন ডিজিটাল সময়ে কোন পদ্ধতিটি বেশি কার্যকরি।।ইন-বাউন্ড মার্কেটিং পুল/টানা কৌশলের উপর নির্ভরশীল। আউট-বাউন্ড মার্কেটিং পুল কৌশল অনুসরণ করে যেখানে বিক্রি বের করে আনার জন্য ভাবের আদান-প্রদান অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।
ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর সৌন্দর্য হলাে মূল্যবান কনটেন্ট তৈরি করার ফলে আধুনিক যােগাযােগ প্রযুক্তির মাধ্যমে এটি ভােক্তার নিকট পৌছে যায়। কোন কিছু আরােপ করা ছাড়াই আপনি ভােক্তাদের আকৃষ্ট করতে পারেন। এজন্য ইনাবউন্ড মার্কেটিংকে পুল টেকনিক বলা হয়।
যখন আউট-বাউন্ড মার্কেটিং ভােক্তার মাঝে কোন ম্যাসেজ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে তখন ইনবাউন্ড মার্কেটিং ভােক্তাদের জন্য কিছু সমাধানের চেষ্টা করে। ইনবাউন্ড মার্কেটিং মার্কেটিং এর ভিত্তি হলাে ব্লগ এবং বিক্রির আগে ব্লগ ভােক্তাদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে সাহায্য করে। এমনকি ব্লগ পােষ্টের মাধ্যমে ভােক্তারা বিক্রয় পরবর্তী সেবাও পেয়ে থাকে। ডিজিটাল যুগে এটি খুবই দ্বি-পাক্ষিক আদান-প্রদানমূলক এবং ফলপ্রসু মাধ্যম।
একই সাথে ইনবাউন্ড মার্কেটিং প্রচলিত মার্কেটিং এর ধারনার উপর প্রতিষ্ঠিত, যেখানে ইনবাউন্ড মার্কেটিং বিভিন্ন সেবা উপস্থাপন করে এবং কিভাবে ব্লগ, অ্যাপ এবং বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম, গ্রুপ ও ফোরামের মাধ্যমে কিভাবে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা যায় সেটি দেখিয়ে থাকে।
ইনবাউন্ড মার্কেটিং আউট বাউন্ড মার্কেটিং
অনুমতিসূচক প্রতিবন্ধকতাসূচক
পুল টেকনিক পুশ টেকনিক
দ্বি পাক্ষিক যােগাযােগ মাধ্যম এক পাক্ষিক যােগাযােগ মাধ্যম
মার্কেট ভ্যালু দেয় মার্কেট খুব কম বা একেবারেই মূল্য দেয় না।
ভােক্তা আপনার কাছে আসবে। আপনাকে ভােক্তার পেছনে ঘুরতে হবে।
মাধ্যম: সার্চ ইঞ্জিন, রেফারেল, সােসাল মিডিয়া মাধ্যম: প্রিন্ট অ্যাড, টিভি অ্যাড, রেডিও, টেলি
মার্কেটিং।
** ইনবাউন্ড মার্কেটিং এ মার্কেটাররা সর্বদা মূল্য সংযােযন করে। অন্যদিক আউটবাউন্ড মার্কেটিং এ মার্কেটারা পণ্যের বিবরণ। দেওয়া ছাড়া কোন মূল্য সংযােযন করে না।
** ইনবাউন্ড মার্কেটিং এ ভােক্তারা খুব অল্পই আপনার অল্পই আপনার ব্যবসায়ে যােগ দিয়ে থাকে। অন্যদিকে আউটবাউন্ড। মার্কেটিং এ ভােক্তারা খুব দ্রুত আপনার আইডিয়া নিয়ে ব্যবসা। করতে চায় যদি তা সম্ভব হয়।
** পার্থক্য হলে যােগাযােগ মাধ্যমে: মার্কেটিং সবচেয়ে কার্যকরি মাধম হলাে যােগাযােগ। আউটবাইন্ড মার্কেটিং প্রচলিত ম্যাস মিডিয়ার উপর নির্ভরশীল এবং এতে ভােক্তার সাথে যােগাযােগের সুযােগ খুবই সীমিত। এর মানে হলাে এটি এক-পাক্ষিক যােগাযােগের কৌশল। মার্কেটাররা তাদের পণ্য, সেবা সম্পর্কে জানাতে চিৎকার করছে তাতে ভােক্তারা তাদের কথা শুনুক বা নাই শুনুক।
অন্যদিকে ইনবাউন্ড মার্কেটিং ভােক্তাদের সাথে মিথস্ক্রিয়ার উপর নির্ভরশীল। ভােক্তারা কথা বলে, ইমেইল পাঠায়, সােসাল মিডিয়ার যােগাযােগ করে। একই সাথে, তারা তাদের মতামত ব্লগ পােষ্টে দেয় এবং তারা আপনার কোম্পানির সাথে তাদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করে। এর মানে। হচ্ছে আপনি তাদের সাথে সরাসরি যােগাযােগের সুযােগ পাচ্ছেন এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতেও যােগাযােগের সুযােগ পাচ্ছেন যা আপনার ব্রান্ডকে। প্রতিষ্ঠা করছে এবং সারা জীবন ব্যাপি আশ্চর্যজনক সেলস ফানেল তৈরি করছে।
সমস্ত ইনবাউন্ড মার্কেটিং যােগাযােগ মাধ্যমের উপর নির্ভর করে, তাই আপনাকে সৎ ও স্বচ্ছ থাকতে হবে। অন্যথায় আপনার ব্রান্ড টিকবে না। আপনাকে সেবার মানকে নিশ্চিত করতে হবে এবং যেখানে সমস্যা রয়েছে। সেটি সমাধান করতে হবে।
৫টি কারনে ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে সােসাল মিডিয়া কেন গুরুত্বপূর্ণঃ
সময় পাল্টে গেছে এবং সমস্ত দিকে বিবেচনা করে ইনবাউন্ড মার্কেটিং হলাে সবচেয়ে ভাল মার্কেটিং কৌশল। উল্লেখ্য যে, সােসাল মিডিয়া হলাে ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর একটি বড় অংশ। এই অংশে আপনি শিখবেন কিভাবে ইনবাইন্ড মার্কেটিং এর মাধ্যমে সােসাল মিডিয়া আপনার ব্যবসায় সমৃদ্ধিতে সাহায্য করে।i) কনটেন্ট প্রােমােশনের জন্য সােসাল মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণঃ
হালনাগান উকরণ দিয়ে ব্লগের পরিচালনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এই কাজটি করতে সােসাল মিডিয়া সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। মজাদার ও হাস্যকর কনটেন্ট দিয়ে অনেক পরিমাণ ভক্ত তৈরি করায় সােসাল মিডিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। একই সাথে এটি বিশ্বাসযােগ্য ভােক্তা ভিজিটর আপনার ব্লগে নিয়ে আসে।অন্যথায় আপনাকে সােসাল মিডিয়ায় বিনােদনের উপযােগী কনটেন্ট তৈরি করতে সচেষ্ট হতে হবে। এর পর আপনি বিনামূল্য বা অর্থ পরিশােধ করে আপনার কনটেন্টের প্রােমােশন করবেন। উভয় পন্থা ব্যবহার করে আপনাকে অর্গানিক রিচ পেতে হবে। অবশ্যই এটা আপনার ক্ষ্য পুরণ। করবে এবং অনেক পরিমাণ লিড নিয়ে আসবে।
সুতরাং আমরা বলতে পারি গুণগত কনটেন্ট তৈরি এবং সােসল মিডিয়ার মাধ্যমে এর প্রােমােশন ইনবাউন্ড মার্কেটিং এ আপনাকে সফল করবে।
ii) সােসাল মিডিয়া আপনাকে নতুন কনটেন্ট তৈরির ধারণা দিবেঃ
সােসাল মিডিয়া কনটেন্ট তৈরির ধারণা পাবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।। আপনাকে স্মরণ রাখতে হবে যে সােসাল মিডিয়ার অধিকাংশ জায়গা। আপনাকে আবিষ্কার করতে হবে। আপনি যদি সােসাল মিডিয়া প্লাটফর্ম যেমন ফেসবুকে থাকেন তাহলে ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর জন্য অনেক বেশি পরিমাণ আইডিয়া আপনার থাকবে না।iii) সােসাল মিডিয়া আপনার অর্ডিয়েন্সকে বুঝতে সাহায্য করবেঃ
সােসাল মিডিয়া হলাে বিনােদন এবং অন্যজন কি চাচ্ছে সেই চিন্তাকে শেয়ার করার একটি প্লাটফর্ম। এজন্য আপনাকে নিশ/যথার্থ স্থান ক্ষেত্র খুজে বের করতে হবে যেখানে অর্ডিয়েন্স যা চায় সেটি প্রােমােট করতে হবে। অন্যথায় আপনি তাদের ব্যবহার অবলকন করতে পারেন তার কি খুজছে। অবশ্যই, এটি আপনাকে ইউজার ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করবে। একই সাথে এটিকে সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি হতে হবে। অর্ডিয়েন্স যা পছন্দ করে সেটি সার্চ ইঞ্জিন সেই কনটেন্ট ভালবাসে। বলার অপেক্ষা রাখে। , এই পদ্ধতিতে আপনি আপনার ব্যবসায়ে দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারবেন সুনামের সাথে।iii) সােসাল মিডিয়া হলাে এসইও এর বড় অংশঃ
অবশ্যই মনে রাখতে হবে, আপনার ওয়েব সাইটের সাথে সম্পক্ত করানাের জন্য সােসাল মিডিয়া একটি উৎকৃষ্ট মাধ্যম। উল্লেখ্য, সার্চ ইঞ্জিনের চোখে আপনার কনটেন্ট বুষ্টিয়ের জন্য সােসাল সিগন্যাল একটি বড় নিয়ামক। একই সাথে, সার্চ ইঞ্জিনের মধ্যে গুগল ইউজার এঙ্গেজমেন্ট পছন্দ করে। এজন্য আমি আপনার কনটেন্টকে সার্চ ইঞ্জিনে রাঙ্কিয়ে সাহায্য করবাে।এটা অনুধাবন করা গুরুত্বপূর্ণ, যদি আপনি আপনার কনটেন্টের মাধ্যমে রাঙ্কিয়ে প্রথম দিকে থাকতে পারেন তাহলে আপনার ব্যবসা গগণমুখী হবে। অন্যদিকে সােসাল মিডিয়া আপনি যদি এঙ্গেজমেন্ট বাড়াতে পারেন এবং প্রচার করতে পারেন তাহলে সােসাল মিডিয়া আপনার ব্রান্ডের ভ্যালু বাড়াতে সাহায্য করবে। অবশ্যই সার্চ ইঞ্জিন ব্রান্ডকে ভালবাসে এবং এটি ভবিষ্যতে আরাে অগ্রাধিকার পাবে।
v) সােসাল মিডিয়া নতুন সুবিধার কথা প্রচার করবেঃ
বিভিন্ন ভৌগলিক সীমানার মানুষকে এঙ্গেজ করতে সােসাল মিডিয়া অন্যতম মাধ্যম। আপনি যদি কৌশলগতভাবে আপনার ব্যবসা তাদের। সামনে প্রচার করতে পারেন, তাহলে তারা আপনার জন্য নতুন বিক্রির প্রস্তাব নিয়ে আসবে এবং বেশি বেশি বিক্রি মানে নতুন সুবিধা। আপনার ব্যবসায়ের জন্য অন্যান্য কিছু সুবিধা পাবেন যা আদৌ আপনি ভাবেননি।পরিশেষে আমি বলবাে, সােসাল মিডিয়া ইনবাউন্ডি মার্কেটিং এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনি যদি সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করতে পারেন।
৬টি ইনবাউন্ড মার্কেটিং কৌশল যা সব ব্যবসায়ী ব্যবহার করে থাকেঃ
আপনার ব্যবসায়ে ইনবাউন্ড মার্কেটিং প্রয়ােগ করার অনেক পদ্ধতি রয়েছে। এগুলাে বিশেষত ছােট এবং স্টার্ট আপ ব্যবসায়ে বিশেষ কার্যকরি। বৃহৎ ব্যবসা অর্থের বিনিময়ে বুষ্টিং করে থাকে। কিন্তু ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে খুব কমই খরচ করে থাকে। এ জন্য অল্প পরিমাণ খরচের মাধ্যমে তাদের ব্যবসাকে সম্প্রসারণ ঘটাবার জন্য ইনবাউন্ড মার্কেটিং খুবই কার্যকরি।আমি ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ৬টি বিষয় চিহ্নিত করেছি যা ব্যবসা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ফলপ্রসু ও সামাজস্যপূর্ণ।
1) ব্যবসা সংক্রান্ত বিনামূল্যে পরামর্শ প্রদানঃ
এটি আপনার ব্যবসার সাথে জড়িত করার দুর্দান্ত উপায়। ছােট ব্যবসা পরিচালনার নির্দেশনা প্রদানের চেষ্টা করুন বা কিভাবে দেখভাল করতে হয় বা এমন কিছু যা আপনার ব্যবসায়ের সাথে সম্পৃক্ত যা বর্ণনার দিক থেকে আকর্ষনীয় এবং আপনি জানেন এগুলাে আপনার সমমনা মনুষ জানতে চায়। এখন এই কনটেন্টগুলাে বিনামূল্যে প্রদান করুন। যখন আপনি এই কনটেন্টগুলাে সােসাল মিডিয়ায় প্রকাশ করবেন বা কেউ যখন আপনার ওয়েব সাইট বা বিজনেস ব্লগে আসবে তখন তারা ব্যবসা সংক্রান্ত গাইড ফ্রি পাবে আপনার কাছ থেকে। তারা আপনার কনটেন্ট সংগ্রহ করবে এবং এটি আপনর ব্রান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি করবে। আপনার পরিমন্ডিলে আপনি একজন এক্সপার্ট বলে বিবেচিত হবেন এবং ইন্ডাষ্ট্রি ট্রাকিং করার ক্ষেত্রে এটি খুবই কার্যকরি পদ্ধতি।2) একটি অথবা দুইটি একই ধরনের শব্দ বেছে নিন এবং আপনার পেইজকে বুষ্টিং করুনঃ
যখন আপনি সার্চ ইঞ্জিনের ট্রাফিক চাইবেন বা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ব্যবসাকে সম্প্রসারণ করতে চাইবনে তখন আপনাকে একটি অথবা দুটি কি ওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি বেশি সংখ্যক শব্দ নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে প্রথমে একটি/দুটি কি ওয়ার্ডের উপর নজর দিতে হবে। তার পর আপনাকে সেই শব্দগুলােকে র্যাঙ্কিং এ আনার জন্য কাজ করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলাে একটি/দুটি শব্দের উপর র্যাঙ্কিং এর ফলাফল প্রাপ্ত হওয়া এবং অন্যান্য শব্দগুলােতে ধারাবাহিকভাবে একই প্রক্রিয়া অব্যহত রাখতে হবে। একদিন আপনার শব্দগুলাে র্যাঙ্কিং এ চলে আসবে এবং সমস্ত শব্দগুলাে এসইআরপি র্যাঙ্কিং এর আওতাভূক্ত হবে।3) পার্সোনাল ব্রান্ড গড়ে তুলুনঃ
যে কোন ব্যবসার প্রসার ঘটাবার আগে প্রথমে নিজের ব্রান্ড গড়ে তােলা। খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কাজ করে যাবেন এবং আপনার বেছে নেওয়া পথে শিক্ষা গ্রহণের ফলে কাজের উপর কতৃত্ব অর্জন করবেন। যখন অন্যরা আপনার ক্ষেত্রে আপনাকে দক্ষ ব্যক্তি হিসাবে পাবে তখন তারা আপনাকে পথ প্রদর্শক হিসাবে বিবেচনা করবে। এজন্য যখন আপনি পার্সোনাল ব্রান্ড গড়ে তুলবেন, তখন আপনি আপনার ব্যবসায়ের জন্যও বুষ্ট করবেন। ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটি সুন্দরভাবে কাজ করে। সুতরাং ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলাে পার্সোনাল ব্রান্ড গড়ে তােলা।4) সােসাল মিডিয়ায় কোশ্চেন এন্ড অ্যানসার সেশনের আয়ােজন করাঃ
আমরা এখন সােসাল মিডিয়ার যুগে বসবাস করছি। এখানে সবাই রক্তেমাংসের মানুষ এবং তারা পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের সাথে সংযুক্ত হতে চায় এবং কোন গ্রুপ বা ইভেন্টে যােগদান করতে চায়। সুতরাং এখানে কোন ভাব গাম্ভীর্যপূর্ণ বিষয় বা কোন কনটেন্টের দীর্ঘ বর্ণনা দেওয়া উচিৎ নয়। এখানে আপনি সাধারণ প্রশ্ন/উত্তর সেশনের সেশনের আয়ােজন করতে পারেন যাতে অংশগ্রহণ করা সহজ এবং আপেক্ষিক কঠিন কোন বিষয় নয়। এই ভাবে তাদের সাথে সহজে সংযুক্ত হতে পারেন এবং তারা আপনাকে তাদের শুভাকাঙ্খি বলে বিবেচনা করবে। আর স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনি আপনার ব্যবসায়ের জন্য বুষ্ট করে ফেলতে পারবেন এবং তারা আপনার ব্যবসায়ের পণ্যকে বিশ্বাসযােগ্য ব্রান্ড বলে বিবেচনা করবে।5) ইমেইল পপ আপ তৈরি করুনঃ
বিশেষ কোন খরচ না করে আপনার ব্যবসা প্রসারের জন্য ইমেইল মার্কেটিং একটি উৎকৃষ্ট মাধ্যম। এটি ব্রান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি করে এবং অনুগত ভােক্তাকে আপনার নিকট আসতে সাহায্য করে। একই সাথে এটি ভােক্তাদেরকে আপনার ব্যবসায়ের সাথে সম্পৃক্ত করে। অন্যভাবে বলতে গেলে আপনার ব্যবসায়ে সারা জীবনের জন্য কিছু বিশ্বাসযােগ্য ভােক্তা সৃষ্টি হয়। ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার নতুন পণ্য বা সেবা সম্পর্কে তাদের খুব সহজে অবহিত করতে পারেন। একই সাথে আপনার ওয়েব সাইটের পাঠকেদের সাথে একটি যােগসূত্র গড়ে তুলতে পারেন। এ জন্য আপনার ইমেইল পপ আপ থাকা উচিৎ এই লিষ্টের সারি দীর্ঘ হবার জন্য। বিশ্বাস করুন, এটি খুব সুন্দরভাবে কাজ করে।6) গেষ্ট ব্লগিংঃ
আপনার ব্যবসায়ে সুনাম বৃদ্ধির জন্য গেষ্ট ব্লগিং খুব চমৎকার একটি বিষয়। এটি আপনাকে তিনটি বিশ্বাসযােগ্য বৃষ্টি দিবে। যেমন, শক্তিশালি ব্যাক লাইন, বড় ধরনের কমিউনিটি অডিয়েন্স এবং পার্সোনাল ব্রান্ডিং। এগুলাে সবই ডিজিটাল মার্কেটিং এ খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এজন্য ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর জগৎ এ এটি খুবই পরিচিত বিষয়। আপনার ব্যবসায়ের পদধূলি অন্য কোন জনগােষ্ঠি বা ব্রান্ডের মধ্যে প্রতিস্থাপন করতে গেষ্ট ব্লগিং খুবই উৎকৃষ্ট মাধ্যম। এটি আপনার ব্যাবসেয়ে সরাসরি ট্রাফিক আনতে সহায়তা করবে এবং এই ভিজিটররা আপনার ক্ষেত্রে মূল্যবান বলে বিবেচিত হবে।সব দিক বিবেচনা করে ব্যবসাকে সম্প্রসারণ করার জন্য আরাে অনেক ধরনের ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর পথ আছে কিন্তু আপনার ব্যবসায়ের শুরুতে উপরিউক্ত পদ্ধতিগুলাে অনুসরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কনটেন্ট মার্কেটিং বনাম ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর মধ্যে পার্থক্য কি?
মাঝে মাঝে আমরা কনটেন্ট মার্কেটিং ও ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর মধ্যে তালগােল পাকিয়ে ফেলি। একটি ফোরামে আমি এই প্রশ্নটির সম্মুখীন হয়েছিলাম, “আপনাদের কি ইনাবউন্ডি মার্কেটিং এবং কনটেন্ট মার্কেটিং দুটিই দরকার?” আমরা অনেকেই মনে করি, ইনবাউন্ড মার্কেটিং হচ্ছে কনটেন্ট মার্কেটিং। প্রকুতপক্ষে এই বিষয়ের মধ্যে বিশাল পার্থক্য আছে। যদিও ইনবাউন্ড মার্কেটিং এবংকনটেন্ট মার্কেটিং মধ্যে কিছু মিল আছে কিন্তু ইনবাউন্ড মার্কেটিং এবং কনটেন্ট মার্কেটিং বিষয় নয়।কনটেন্ট মার্কেটিং কি?
কনটেন্ট মর্কেটিং হলাে বিভিন্ন চ্যানেলে আপনার কনটেন্টের প্রচারণা চালানাে। একে আপনি আউটরিচ বলতে পারেন। এই দিক বিবেচনা করে আমরা বলতে পারি, কনটেন্ট মার্কেটিং হলাে কনটেন্টের প্রচারণা চালানাে এবং ওয়েব সাইট বা ব্লগে ভিজিটর পাওয়া। এসব জায়গায় কনটেন্ট প্রাসঙ্গিক এবং তথ্যবহুলভাবে উপস্থাপন করা হয়। ইমেইল মার্কেটিং, ইভেন্ট প্রােমশন, ওয়েব সাইট ইউজার ইন্টারফেস এর মতাে আকর্ষনীয় মার্কেটিং এর পদ্ধতি এখান থেকে আপনি পেতে পারেন।ইনবাউন্ড মার্কেটিং কি?
ইনবাউন্ড মার্কেটিংও আপনার কনটেন্ট এর প্রােমশন করে থাকে। সাধারণভাবে বলতে গেলে, কনটেন্ট মার্কেটিং হলাে ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর মূল অংশ। কিন্তু কনটেন্ট মার্কেটিং শুধুই কনটেন্টের প্রচারণা ও বিতরণ করে থাকে। লিড তৈরিতে এর কোন দায়বদ্ধতা নেই। এই বিষয়ে ইনবাউন্ড মার্কেটিং আমাদের সামনে উপস্থিত হয়। ইউজার ইন্টারফেজ ব্যবহারের মাধ্যমে ইনবাউন্ড মার্কেটিং ভিজিটরদের লিডে পরিণত হতে সাহায্য করে, কলকে অ্যাকশনে পরিণত করে। ভিজিটররা যেখানে সার্ভিসের জন্য আসে। সেখানে ইনবাউন্ড মার্কেটিং পর্যাপ্ত পরিমাণ কনটেন্ট উপস্থাপন করে।ইনবাউন্ড মার্কেটিং শুধু লিড তৈরি করে না বরঞ্চ লিডকে সেলসে রূপান্তর করে যা মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত। একই সাথে সৃষ্টিশীল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ইনবাউন্ড মার্কেটিং বাস্তবভিত্তিক তথ্য আমাদের সামনে উপস্থাপন করে থাকে। তাই যখন কনটেন্ট মার্কেটিং শুধু কনটেন্ট বিতরণ করে সেখানে ইনবাউন্ড মার্কেটিং বিক্রির সম্ভাবনা সৃষ্টি করে। এমনকি এটা আপনার ব্যবসাকে স্থিতিশীল পর্যায়ে আনতেও সাহায্য করে থাকে।
তারা কেন এক সঙ্গে কাজ করে থাকে?
এটা সত্য যে ইনবাউন্ড মার্কেটিং এবং কনটেন্ট মার্কেটিং উভয়ই আপনার ব্যবসায়ের সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা একে অন্যের পরিপূরক হিসাবে কাজ করে। আপনি কনটেন্ট স্ট্র্যাটিজি ছাড়া কিছু করতে পারবেন না। একই সাথে আপনার ইনবাউন্ড মার্কেটিংও প্রয়ােজন। কনটেন্টকে সেলসে রূপান্তর করার জন্য। ব্লগ আর্টিকেল, ই-বুক, ওয়েব পেজ এবং সােসাল মিডিয়ার জন্য আপনার কনটেন্ট প্রয়ােজন। এই বিষয়গুলাে মাথায় রেখে ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর মাধ্যমে কনটেন্ট দ্বারা সম্ভাব্য উপার্যন বের করে আনতে হয়।সুতরাং আমরা বলতে পারি ইনবাউন্ড মার্কেটিং হলাে কনটেন্ট দ্বারা ফলাফল বের করে আনার একটি পদ্ধতি। আপনি একে অন্যের সাহায্য ছাড়া কোন কাজই করতে পারবেন না। আপনার যেমন কনটেন্ট দরকার, ঠিক তেমনি কনভারসেশন রেটও বাড়ান দরকার। এর মানে হলাে আপনাকে কনটেন্ট মার্কেটিং এবং ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর সমন্বয়ের মাধ্যমে সামনে অগ্রসর হতে হবে। এর পরের আপন নতুনত্ব কিছু সৃষ্টি করতে পারবেন। আপনাকে মনে রাখতে হবে এটি ব্যবসায়ের ছন্দ পরিবর্তন। করতে সক্ষম এবং আপনি আপনার ব্যবসাকে দীর্ঘ দিন ধরে চালিয়ে যেতে পারেন।
আপনার কি ইনবাউন্ড মার্কেটিং এবং কনটেন্ট মার্কেটিং উভয়ই প্রয়ােজন?
আমার মনে হয় আপনি ইতিমধ্যে উত্তর পেয়ে গেছেন। আপনি যদি শুধু কনটেন্ট সৃষ্টি করেন এবং প্রচলিত মার্কেটিং পদ্ধতিতে এর প্রচারণা চালান তবে আপনি অনেক দূর যেতে পারবেন। কিন্তু এটি আপনার জন্য টার্গেট সেলস নিয়ে আসবে না। এজন্য আপনাকে আরাে স্মার্ট হতে হবে। এজন্য আপনাকে ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর সাহায্য নিতে হবে। ইনবাউন্ড মার্কেটিং যেখানে অর্ডিয়েন্স রয়েছে সেখানে আপনার কনটেন্ট পৌছে দিতে সাহায্য করবে অথবা সেবা প্রদানের প্রয়ােজনিয তথ্য উপাত্ত আপনার সামনে হাজির করবে।যেমন আপনি আপনার সার্ভিস বা কনটেন্টের জন্য আউটরিচ বাড়াতে চান। তাহলে আপনাকে ইমেইল অ্যাডড্রেস সংগ্রহ করতে হবে, আপনাকে বিভিন্ন ইমেইলের ক্লায়েন্টদের সাথে ডিল করা শিখতে হবে। অন্যভাবে বললে বলতে হয়, আপনাকে সব জিনিসগুলাে সহজে ধারন করতে হবে। তাহলে আপনি সহজেই কনটেন্টকে সেলসে রূপান্তর করতে পারবেন। এটাই হলাে কনটেন্ট ও ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর সৌন্দর্য। কিন্তু আপনি ইনবাউন্ড মার্কেটিং কে পরিপূর্ণভাবে কনটেন্ট মার্কেটিং বলতে পারেন না।
সুতরাং কোন পদ্ধতি আপনার অনুসরণ করা উচিৎ?
এটা একটা কৌশলগত প্রশ্ন এবং আমি এটি পছন্দ করি। আপনি কনটেন্ট ছাড়া ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডকে চিন্তাই করতে পারবেন না। অন্যদিকে ইনবাউন্ড মার্কেটিং ছাড়া শুধুমাত্র কনটেন্ট দিয়ে আপনি প্রত্যাশিত ফলাফল পাবেন। নির্দিষ্ট করে বললে বলতে হয়, কনটেন্ট ব্রান্ড ও কতৃত্ব সৃষ্টিতে সাহায্য করে এবং কনটেন্ট মার্কেটিং ভােক্তাদের কাছে এগুলাে পৌছে দেয়। অন্যদিকে ইনবাউন্ড মার্কেটিং আপনার পায়ের চিহ্ন যেখানে পড়েছে সেখানে তথ্য প্রাপ্তিকে সহজতর করে দেয়।একথা মনে রেখে আপনাকে প্রথমে কনটেন্ট তৈরি করতে হবে এবং কনটেন্ট মার্কেটিং দ্বারা রি-সার্চিং, আউট রিচিং ও লিড জেনারেট করতে হবে।
ইনবাউন্ড এমন একটি কাঠামাে যা ফলাফল তৈরি করেঃ
এটা আসলে কোন কাঠামাে নয় তবে কিছু একটা তাে বটে যখন আমরা নিন্মক্ত পদ্ধতিতে ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর জন্য কাজ করবাে। ইনবাউন্ড মার্কেটিং আসলেই ফলাফল বের করে নিয়ে আসে। নিন্মক্ত অতিরিক্ত পদ্ধিতির মাধ্যমে আমরা অনেক কাজ সম্পাদন করেছি। যদিও আমরা নতুন ট্রেন্ডের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য কিছু নতুন স্ট্র্যাটিজি গ্রহণ করেছি। কিন্তু আমরা নিন্মক্ত ধাপকে ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর খুবই কার্যকরি পন্থা বলতে পারি। আসুন দেখি এগুলাে কিভাবে কাজ করে।ধাপ ০১: বীজ রােপণ করুনঃ
আপনি যখন ইনবাউন্ড মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে বীজ বপণের মতাে একই সূত্র আপনাকে অনুসরণ করতে হবে। আপনি যদি এখানে কোন ভুল করে থাকেন তাহলে আপনি ডাটা-ড্রাইভেন রেজাল্ট পাবেন না। এজন এখানে আপনার মনযােগ দেওয়া প্রয়ােজন। এখানে ব্রান্ডের নাম আগে আসে। আপনাকে একটি নাম ঠিক করতে হবে যেটি ব্রান্ড হিসাবে কাজ করবে। এর পর আপনাকে এমন একটি গােষ্ঠী খুজে বের করতে হবে যারা আপনার ব্যবসায়ের জন্য ডাটা এবং ইনফোগ্রাফিক সরবারহ করবে এবং একই সাথে ভােক্তাও খুঁজে বের করবে। সর্বশেষে ইউজার এক্সপিরিয়েন্সের জন্য ওয়েব সাইট ডিজাইন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, একই সাথে ভিজিটারকে অ্যাটাক ও সেলস তৈরির ক্ষেত্রেও সম-গুরুত্বপূন।সুতরাং বীজ বপণের মৌলিক বিষয় হলােঃ
- ব্রান্ডিং
- বায়ার্স পারসােনাস
- ওয়েব সাইট ইন্টারফেস
ধাপ ০২: সমৃদ্ধির জন্য প্রস্তুতিঃ
এখন নির্ভরশীল, তথ্যবহুল এবং রেজাল্ট ড্রাইভেন কনটেন্ট দিয়ে আপনার ব্যবসাকে সমৃদ্ধি করার সময়। আপনাকে বায়ার্স পারসােনার উপর মনযােগ। দিতে হবে লিডের যথােপােযুক্ত স্থান পাবার জন্য। এখানে আপনার। পরাজয়ের কোন স্থান নেই। কনটেন্ট হলাে ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর মূল অংশ। সকল ফলপ্রসুতাই কনটেন্টের উপর নির্ভর করে। এজন্য ভিজিটরদের খুমি রাখার জন্য আপনাকে কনটেন্ট লিখতে/সৃষ্টি করতে হবে। এটি ভিজিটরদের সত্যিকারভাবে আপনার কাছে নিয়ে আসবে এবং ইনবাউনড মার্কেটিং তার বিক্রির কাজ করতে সামর্থ্য হবে। সুতরাং আপনার ব্যবসায়ের সমৃদ্ধির অংশ সর্বাংশে কনটেন্টের উপর নির্ভরশীল।সমৃদ্ধির ধাপগুলাে হলােঃ
-চমৎকার কনটেন্ট তৈরি করা যেমন ব্লগ পােষ্ট, আর্টিকেল, ই-বুকএবং জার্নাল।
- সেবা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা।
- কনটেন্টকে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া।
ধাপ ০৩: সমৃদ্ধি ও বিশ্লেষণঃ
যখন আপনি চমৎকার কনটেন্ট সৃষ্টি করবেন যা ডিজিটাল বিজনেসের মূল উপাদান তারপর আপনাকে এগুলােকে আউটরিচ করতে হবে। এখানে ডাটা ও মার্কেটি রিসার্চ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু আপনি এই পদ্ধতি আগেও ব্যবহার করেছেন সুতরাং আউটরিচের সমস্ত পদ্ধতি ব্যবহার করুন তবে পারলে ইমেইল নয় এবং ধাপগুলাে খুবই সতর্কতার সাথে অনুসরণ করুন এবং সর্বদা ডাটা পরিক্ষা বিশ্লেষন করুন।এখানে কনটেন্টকে আলাদা করার কার্যকরি অংশ রয়েছে এবং আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং ফার্মের সাহায্য নিতে পারেন যারা ইনবাউন্ড সার্ভিস প্রদান করে থাকে। যেমন ByteCode - Digital Marketing Firm.
ধাপ ০৪: লিডকে সেলসে রূপান্তরঃ
যেহেতু আপনি বিজনেস ওয়েব সাইট তৈরি করেছেন এবং ব্রান্ডের জন্যে মান সম্মত বীজ বপণ করেছন, আপনাকে গুণগত কনটেন্ট সৃষ্টি করতে হবে এবং প্রতিযােগী ও ভােক্তাকে বিশ্লেষণ করতে হবে। এটা লিডকে সেলসে রূপান্তর করার সময়। এই ধাপে বিজনেসে সৃষ্টিশীলতা নিয়ে আসা এবং ইন্ডাষ্ট্রিতে সর্বচ্চ পর্যায়ে অবস্থান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি পদ্ধতি অনুসরণ করেন এবং অবশ্যম্ভাবিভাবে ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করে যেতে পারেন তাহলে আপনার সেরাটা আপনি পাবেন। আপনাকে অনুধাবন করতে হবে যে, সর্বদা আপনাকে ডাটার উপর নির্ভরশীল থাকতে হবে। একই সাথে আপনাকে ভােক্তার কথাও শুনতে হবে।ফলাফল দেখার জন্য শ্রেষ্ঠ ইনবাউন্ড মার্কেটিং গােষ্ঠীঃ
ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর ফলাফল সর্বদা ক্রেতা সম্প্রদায়ের উপর নির্ভর করে। এটা মার্কেটিং এর প্রচেষ্টা এবং বিক্রয়ের পদ্ধতি বর্ণনা করে থাকে। ক্রেতা সম্প্রদায় সঠিকভাবে মার্কেটিং এর ভবিষ্যত দেখে থাকে। এটা ভােক্তাদের সংখ্যা বাড়িয়ে থাকে এবং সেলস টেকনিকের সাথে প্রােডাক্ট সাপাের্টও দিয়ে থাকে এবং এক্ষেত্রে ইনবাউন্ড মার্কেটিং এ ডাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি এটা তখন বুঝতে পারবেন যখন আপনার মৌলিক কিছু তথ্যের দরকার হবে, যেমন – জব টাইটেল, বয়স অথবা লিঙ্গ। ইনবাউন্ড। মার্কেটিং পারসােনার ভাল ব্যবহার দেখা যাক।ইনবাউন্ড মার্কেটিং এ বায়ার্স পারসােনা কি?
বায়ার্স পারসােনা টার্গেট মার্কেট নির্ধারণ করে থাকে এবং এটা আপনার। ব্যবসায়ে টার্গেট কাষ্টমার নিশ্চিত করে থাকে। আসলে এটা রিসার্চ, রিয়েল টাইম ডাটা ও সাক্ষাৎকারের উপর নির্ভরশীল। আপনার যেমন কনটেন্ট দরকার তেমন কনটেন্ট এটা তৈরি করে এবং কেন আপনার কাষ্টমারদের জানা ও তাদের প্রয়ােজন বােঝা সে জিনিসটি ব্যাখ্যা করে। এটি বস্তুনিষ্ঠতা, ফোকাস ও কৌশলের উপর নির্ভর করে।এটা নির্ধারণ করে কোন ধরনের কনটেন্ট খুবই প্রয়ােজন এবং আপনার ব্রান্ডকে ধরে রাখার জন্য কোন ধরনের কনটেন্ট দরকার। যেমন আপনি ব্লক আর্টিকেল, অনলাইন ভিডিও, হােয়াট পেপার, ই-বুক, নিউজ লেটার, সােসাল মিডিয়া পােষ্ট, অনলাইন অ্যাড তৈরি করতে পারেন। ডিজিটাল প্রােমােশনের জন্য আপনার সব ধরনের কনটেন্টের ব্যবহার জানা দরকার কিন্তু অগ্রাধিকার ব্যবসায়ের ধরনের উপর নির্ভর করে। এজন্য কাষ্টমারের ধরনের উপর আপনাকে এটি নির্ধারণ করতে হবে।
ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে কিভাবে পারসােনা তৈরি করতে হয়।
যখন আপনি ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর নির্ভরশীল তখন বায়ার পারসােনা খুবই দরকার কাজ করার জন্য। এই জন্য আপনাকে সঠিক সময়ের তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং সাফল্যমন্ডিত ফলাফলের জন্য একই সাথে এর উপর ভিত্তি করে রিসার্চও চালিয়ে যেতে হবে।
কিভাবে আপনি এটি সংগ্রহ করবেন?
- অভ্যন্তরীন আলােচনা এবং সাক্ষাৎকার।- ভােক্তাদের আলােচনা
- সংশ্লেষন ও লেখা
আপনার ব্যবসায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ডাটা বের করতে হবে এবং ইনবাউন্ড মার্কেটিং এ সফলতা পাবার জন্য এখানে আপনাকে স্মার্ট হতে হবে।
ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে কিভাবে পারসােনা ব্যবহার করতে হয়?
যেহেতু আপনি ইনবাউন্ড মার্কেটিংয়ে গুপ্ত ভিজিটর হতে সেলস বের করে আনার পর্যায় পর্যন্ত এর সমস্ত প্রক্রিয়াই অনুসরণ করছেন, এজন্য আপনাকে বিক্রয় প্রতিনিধি, কাষ্টমার ম্যানেজার এবং অন্যান্য মার্কেটারদের ডাটাকে ট্রাক/অনুসরণ করতে হবে। আমি ভােক্তাদের ব্যবহার সম্পর্কে সাম্যক ধারনা পেতে সাহায্য করবাে। এজন্য আপনাকে আসল ঘটনার উপর নজরদারি রাখতে হবে এবং আপনাকে সেবা বা তথ্যের হালনাগাদ বিবরণও রাখতে হবে।
ইনবাউন্ড মার্কেটিং এ অ্যাডভান্স পারসােনাঃ
যেহেতু আপনি আপনার সেবার জন্য লিড বাড়াবার কাজটি করছেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে এটিও অনুসরণ করতে হবে। আপনার সার্ভিস/সেবায় ভােক্তাদের নেতিবাচক আচারণও প্রতক্ষ করতে হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে আপনি এর ফলে আপনার সার্ভিসের জন্য নেতিবাচক ফলাফলও পাবেন। সুতরাং স্মার্ট হােন এবং সমস্যাগুলােকে টেকনিক্যালি সমাধান করুন এবং ইনবাউন্ড মার্কেটিং এ যারা কাজ করছে তাদের নেতৃত্ব দিন। অবশ্যই দীর্ঘ মেয়াদে আপনি ভাল ফলাফল পাবেন।সুতরাং ইনবাউন্ড মার্কেটিং কি এবং কি অনুসরণ করা প্রয়ােজন?
আমি যদি উপসংহার টানি তাহলে বলতে হয় ইনবাউন্ড মার্কেটিং হলাে নির্ধারিত লক্ষ্যের বিক্রয় এবং সুনাম বৃদ্ধি।১. গুরুত্বপূণ ও হালনাগাদ কনটেন্ট স্ট্র্যাটিজি তৈরি করুন।
২. বি টু বি এর ক্ষেত্রে কনটেন্টের উপর মনযােগী হােন এবং ব্রান্ডকে নিয়ে আসুন।
৩. প্রয়ােজনিয় কলকে অ্যাকশনে পরিণত করুন এবং চমৎকার একটি ওয়েব সাইট ডিজাইন করুন।
৪. সর্বদা ওয়েব সাইটকে আকর্ষণীয় রাখুন।
৫. ভিজিটর ও সার্চ ইঞ্জিনের জন্য কনটেন্ট তৈরি করুন। তার মানে কনটেন্ট তৈরি করতে গিয়ে কখনাে সার্চ ইঞ্জিনের কথা ভুলে যাবেন না।
৬. আপনার সার্ভিসের জন্য উপকারি তথ্য দিন এবং কনটেন্ট দ্বারা সচেতনতা গড়ে তুলুন।
৭. নিশ্চিত করুন আপনি সর্বশেষ আউট রিচিং মেথড ব্যবহার করছেন এবং সঠিক ফিড ব্যাক পাচ্ছেন।
৮. সেমিনার ও ইভেন্টে যােগদান করুন এবং এটা ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ শেখার কৌশল।
৯. যেখানে ভােক্তারা শােনার জন্য অপেক্ষা করছে সেখাবে আপনার ব্যবসাকে রাখুন।
১০. স্ট্র্যাটিজিক এবং ইনফরমেটিভ হােন।
আপনি যদি পূণাঙ্গ নির্দেশনা অনুসরণ করেন তাহলে ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনা ভেতর অন্তঃদৃষ্টি সৃষ্টি হবে। আমি নিজেকে সেভাবে তৈরি করেছি। পূর্ণাঙ্ক ধারণা পাবার জন্য নিচের ইনফোগ্রাফিক দেখতে ভুলে যাবেন না।
Post Related Things: Bangla Blog, ডিজিটাল মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স, ডিজিটাল মার্কেটিং ফুল কোর্স, ডিজিটাল মার্কেটিং টিউটোরিয়াল, মার্কেটিং,ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো, মার্কেটিং সম্পর্কিত ধারণা- ইনবাউন্ড এবং আউটবাউন্ড মার্কেটিং কনসেপ্ট, how to do digital marketing, digital marketing bangla tutorial, learn about digital marketing, bangla tutorial about digital marketing, digital marketing course, digital marketing in bangladesh, free digital marketing course, inbound marketing, inbound marketing strategy, inbound marketing hubspot, marketing digital, what is inbound marketing, outbound marketing, marketing inbound, digital marketing, inbound, marketing, inbound marketing vs outbound marketing, inbound marketing 2022, o que é inbound marketing, inbound marketing definition, inbound marketing curso, inbound marketing o que é, inbound marketing español, inbound marketing examples, marketing online, inbound marketing tips